নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরাঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসী পিয়াস বাহিনীর তান্ডবে একের পর এক ঘটেই যাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা আর এলাকায় চাঁদাবাজি ও নদীপথে ডাকাতিসহ সাধারণ মানুষকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাাসী বাহিনীর সদস্যরা। এতে ভয়ে শতাধিক পরিবার এখন বাড়িছাড়া। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মো. রাসেল দেওয়ান পিতা- সেকান্দার আলী, মো. জাহিদ সরকার- পিতা নাসির সরকার, মো. মোফাজ্জল পিতা- লতিফ মেম্বার ও হারুন রাঢ়ীসহ অনেকেই রয়েছেন বাড়ি ছাড়ার তালিকায়। পিয়াস বাহিনীর বিরুদ্ধে গজারিয়া, দাউদাকান্দি মডেল ও মতলব উত্তর থানায় মোট ২৯টি মামলা রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী পিয়াস বাহিনীর হামলায় কদমতলী এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া প্রধানের বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়। তাদের হামলায় হারুন-অর-রশিদ, ফারুক, নুরুল হক ও মোখলেস গুলিবিদ্ধ হয়। হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার পথে ফয়সালকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে ফয়সাল ছাড়া বাকি পাঁচজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী আরও জানায়, সন্ত্রাসী পিয়াস বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম মৃধা বলেন, ঘটনার দিন আমাদের হাসপাতালে মোট পাঁচজন রোগী এসেছেন। তার মধ্যে হারুন-অর-রশিদ ও নুরুল হককে শটগান জাতীয় কিছু দিয়ে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। বাকিদের গায়ে দেশীয় অস্ত্র এবং রড জাতীয় কিছুর আঘাত রয়েছে। আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার বাদী সুরুজ মিয়া প্রধানকে মামলা উঠানোর জন্য হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আসামীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলছে।