নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে ৬ বছরের এক শিশু। আহতের নাম মীম (৬)। সে বালুয়াকান্দি গ্রামের ভাড়াটিয়া কবির হোসেনের মেয়ে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বালুয়াকান্দি ডাঃ আব্দুল গাফফার স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন মৃত নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। ছুটে গিয়ে তারা দেখতে পান বাড়ির সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে গ্যাস লাইনের সঞ্চালন পাইপে আগুন ধরে গেছে। এসময় মীম নামে ৬ বছরের এক শিশু দগ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা। বাড়ির বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে তাসলিমা চৌধুরী মুন্নি বলেন, গত প্রায় সাড়ে ছয় বছর আগে বসবাসের জন্য একতলা এ ভবনটি নির্মাণ করেন তারা। তার বাবার মৃত্যুর পর বর্তমানে তিনি তার মা ও দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছেন। তার স্বামী পেশায় একজন ব্যবসায়ী হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ে তিনি ব্যবসায়িক কাজে বাড়ির বাহিরে থাকেন। বাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির পেছনের অংশে তারা একটি সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেন এবং বিষাক্ত গ্যাস বের হওয়ার জন্য একটি মোটা পাইপ যুক্ত করে দেন। তবে গতবছর বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার তাদের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেন। এসময় তাদের সেপটিক ট্যাংকের মুখ মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা গ্যাসের কারণে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে তাদের বাড়ি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে যা যেকোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লোক মারফত তা তিনি শুনেছেন তবে তাকে জড়িয়ে যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। জনগণের সুবিধার্থে রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।