নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন জামালপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জাইকুল ইসলাম (জহিরুল) এর স্ত্রী আয়েশা আক্তারের মিথ্যা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা থেকে বাঁচতে চায় স্বামী জাইকুলের মা – বাবাসহ পরিবারবর্গ। আয়েশা আক্তারের স্বামী জাইকুল জানান, সুতার দোকানে অল্প বেতনের চাকরি করে সে নারায়ণগঞ্জ শহরে। স্ত্রী আয়েশা আক্তার মা-বাবার সাথে গ্রামে বসবাস না করে শহরে বসবাস করতে প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী এবং স্ত্রী দুইজনের মাঝে বহুবার মতবিরোধ ঘটেছে। স্ত্রী আয়েশা নিজ কর্মস্থলে গিয়ে একাধিকবার অপমানিত করেছে তাকে। সঠিক সমাধানের জন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিকবার দুইপক্ষের মাঝে সালিশ হয়েছে। জানুয়ারি মাসের সালিশের পর থেকে স্ত্রী আয়েশা আক্তার স্বামীর বাড়িতে না থেকে কদমতলি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। গত ২৩ মার্চ ২০২০ মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে জাইকুলের বৃদ্ধ মা-বাবাসহ তাকে আসামি করে ভিত্তিহীন অসত্য যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করেছে। জানুয়ারি মাসের সালিশি বৈঠকে উপস্থিত গ্রামের মাতবর আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন সরকার এবং একই ইউনিয়ন ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া জানান, সালিশ বৈঠকের পর জাইকুলের স্ত্রী আয়েশা তার শ্বশুর বাড়িতে আসেনাই। জাইকুলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা। মামলার বাদী স্ত্রী আয়েশা এবং তার মা জানান, বিয়ের পর থেকে আয়েশা আক্তার প্রায় ১৮ মাস জামালপুর জাইকুলের বাড়িতে বসবাস করেছে। সালিশ বৈঠকের পর আয়েশা নিজ বাড়ি কদমতলি গ্রামে আছে। যৌতুক ও মারপিট বিষয়টি আমার মেয়ে আয়েশা অনেক সময় পর জানিয়েছে।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আবুবকর জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারা অনুযায়ী যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা হলে বিবাদী মামলা থেকে খালাস পাবে। আইনজীবী আরও জানান, যৌতুক মামলার পর দুই পক্ষের আইনজীবী এবং অভিভাবকদের নিয়ে আপোষ মীমাংসার সিদ্ধান্ত বাদী আয়েশা আক্তার মেনে নিয়েছেন। লকডাউন চলাকালে এই সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নাই। আয়েশা আক্তারের নারী নির্যাতন মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।