নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পর চালু হলো অপারেশন থিয়েটার। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া গ্রামের আল-আমিন মিয়ার স্ত্রী প্রসূতি আফছানা আক্তারের সিজারিয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন চালু হয়।
এদিকে দীর্ঘবছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৮২ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। অপারেশন থিয়েটারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও অপারেশনের নির্ধারিত চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন চালু করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘবছর পর অপারেশনের চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ায় সেই সমস্যার সমাধান হলো।
প্রথম অপারেশন হওয়া আফছানা আক্তারের দিনমজুর স্বামী আল-আমিন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান না হওয়ায় উপজেলা হাসপাতালে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু না হলে ধার দেনা করে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে অপারেশন করা লাগতো।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুবাশশিরা বিনতে আলম বলেন, আমাদের এই এগিয়ে যাবার পিছনে রয়েছেন মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সিভিল সার্জন মোঃ মঞ্জুরুল আলম।
তিনি আরও বলেন, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ আমার ২ বছর ১৮ দিন পূর্ণ হলো। গত ২০২০ সালে ২৪ আগস্ট গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। পরবর্তীতে গজারিয়া উপজেলার মানুষের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতায় কোভিড-১৯ মোকাবিলা করা, কোভিড ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করেছি। আজ আপনাদের অপরিসীম চেষ্টায় আমরা একটি ইতিহাসের অংশ হতে পারলাম।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, গজারিয়া ও আশপাশের এলাকার প্রসূতিসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য এটা একটি সুখবর। রোগীরা এখন বিনামূল্যে এখানে সিজারিয়ানসহ সম্ভাব্য প্রায় সকল অপারেশনের সুবিধা নিতে পারবে।