নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিলো স্থানীয় যুবকেরা। গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া যুবসমাজের উদ্যোগে পোড়াচক বাউশিয়া সালেহিয়া মুহিব্বিয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার জন্য সেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ১২০ ফিট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সাঁকোটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এতে পোড়াচক বাউশিয়া সালেহিয়া মুহিব্বিয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ও পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের পূর্বপাড়া মহল্লার প্রায় ২০০ মানুষের যোগাযোগ সহজ হলো। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ও মহল্লার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমে গেছে। তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কাউসার সরকার, আজিম, মামুন, সজিব এর উদ্যোগে কয়েক শত যুবক স্বেচ্ছাশ্রমের মধ্য দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পারাপারে প্রতি বছর ব্যবহার করেন নিম্নমানের ছোট্ট সাঁকো। অনেকে সেই সাঁকো দিয়ে যেতে না পেরে হাঁটুপানিতে নেমে হেঁটে যায়। এতে করে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার অন্তত ২ থেকে ৩ শত মানুষ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক অতিকষ্টে এভাবেই রাস্তায় হেঁটে আসছেন দিনের পর দিন। স্থানীয় সাবেক মেম্বার তাবারেক, হাসান জাহাঙ্গীর, শাহআলমের আর্থিক সহযোগিতায় ১২০ ফিট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়। গ্রামের কাউসার সরকার বলেন, এখানে একটি রাস্তার জন্য বিভিন্নজনের কাছে ঘুরেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। আপাতত সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল ব্যবস্থা ঠিক রাখা হচ্ছে। তবে এখানে সরকারিভাবে একটি রাস্তা নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক তাবারেক মেম্বার বলেন, এখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচলে সুবিধা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গজারিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ
আগের পোস্ট