নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনি গ্রামে নতুন জামে মসজিদের সাথে তাহের আলীর বাড়ি সংলগ্ন হেলে পড়া ভাঙা ব্রীজ সংস্কারের অভাবে দূর্ভোগের শিকার ৪টি গ্রামের সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকি নিয়ে মিশুক সিএনজি চালকরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ভাঙা হেলে পড়া সেতুর উপর দিয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনি গ্রামের নতুন মসজিদ তাহের আলীর বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি ভেঙে হেলে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মিত ব্রীজের এপ্রোচে মাটি না থাকায় হেলে পড়েছে ব্রীজটি। ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনি গ্রাম, আশ্রয়ণ প্রকল্প, চর কালিপুরা, বেরুমোল্লাকান্দী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সর্বসাধারণের একমাত্র চলাচলের রাস্তার খালের উপর নির্মিত ভেঙে হেলে পড়া ব্রীজের উপর গ্রামবাসী, অটো ও মিশুক চালকদের উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে চলাচল উপযোগী করে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
ষোলআনি গ্রামের রনি মিয়া, জসিম মোল্লা, অটোরিকশা, মিশুক চালক রিপন, শহীদুল্লাহসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ষোলআনি আবাসন প্রকল্পে ৫০টি অটোরিকশা, মিশুক চালক পরিবারের বসবাস রয়েছে। দৈনন্দিন কাজে প্রতিদিনই উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন কাজে যেতে হয়। আসা-যাওয়ার একমাত্র রাস্তার খালের উপর ব্রীজটি সংস্কার ও মেরামতের অভাবে দীর্ঘ দুই বছর যাবত গ্রামবাসী ও সিএনজি, অটোরিকশা, মিশুক চালক, কর্মজীবী নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তারা আরো বলেন, গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সদস্যদের নিকট একাধিকবার হেলে পড়া ভাঙ্গা ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারের দাবি রাখা হয়েছে। সেসকল সহযোগিতা না পেয়ে গ্রামবাসী ও সিএনজি, অটোরিকশা ও মিশুক চালকদের অর্থায়নে ভাঙা ব্রীজের উপর কাঠ, বাঁশ দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু জানান, ব্রীজের এপ্রোচের মাটি সরে যাওয়ায় হেলে পড়েছে। আগামী মাসিক সাধারণ সভায় সংস্কার ও পুনরায় মেরামতের দাবি রেখে বাজেটের প্রস্তাব করা হবে।