নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া অংশসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর স্ট্যান্ড থেকে কাঁচপুর এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮/২০ কিঃমিঃ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, লাঙ্গলবন্দে শুরু হওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুইদিন ব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক এবং যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত তীব্র যানজটের ফলে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এমনকি বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাউশিয়া থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া চিটাগাংরোড থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বাসের হেলপাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা নানা কারণ দেখাচ্ছে। তারা জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। যার ফলে তারা ভাড়া সামান্য বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কথা হয় কবির হোসেন নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, দাউদকান্দি থেকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে তিনি সকাল ১০টায় রওনা দেন। দেড় ঘণ্টায় তিনি মাত্র মেঘনা পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। যেখানে তার দাউদকান্দি থেকে লাঙলবন্দ পৌঁছতে ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা।
শফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি অফিসের উদ্দেশ্যে বাউশিয়া থেকে বের হোন। তীব্র যানজটের ফলে জামালদী বাসস্ট্যান্ডে গিয়েই তিনি ফেরত এসেছেন।
কথা হয় আবদুর রহমান নামে আরেক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, জরুরি কাজে মেঘনা ঘাটে যাওয়ার জন্য তিনি সকাল ১০টায় ভাটেরচর মোড় থেকে বের হন। কিন্তু তীব্র যানজটের কারণে তাকে উল্টোপথে রিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। সেজন্য তার বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
তীব্র যানজটের বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নবীর হোসেন জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। এর ফলে সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত এমন যানজট থাকতে পারে বলে জানান তিনি। যানজট নিরসনে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে।