নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ১০ বছর পর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি পদে আমিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনসুর আহমেদ খাঁন জিন্নাহ্ নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গজারিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ লুৎফর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোঃ মহসিন চৌধুরী। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু তালেব ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল আহমেদ বিপ্লব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে খুনের মূল কারিগর জিয়াউর রহমান। তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৪টি গ্রেনেড ছুঁড়েছিলো। খুনির রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি। শুধু খুনি নয়, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি। ১৯৭৫ সালের পর স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধ্বংস করে পাকিস্তানি কায়দায় দেশ পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। এর মধ্যে ৩০ বছর বিএনপি জামায়াত-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিলো। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ তারা পাকিস্তানপন্থী। বিএনপি সমস্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্লাটফর্ম। তারা বাংলাদেশকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর স্বাধীনতার বিপক্ষের সমস্ত শক্তিকে বিএনপি নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সম্মেলনে সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনসুর আহম্মেদ খাঁন জিন্নাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মুমিনুল হক টিটু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম বীরপ্রতীকের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে হাজী মোঃ মহসিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক পদে ডাঃ মাজহারুল হক তপনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।