নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিএনপি-জামায়াতের সিন্ডিকেট সাংবাদিক হিসেবে কতিপয় ব্যক্তি কাজ করে যাচ্ছে। এতে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো চরমভাবে বাধাগ্রস্ত ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে জামায়াত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় ঐ সকল সাংবাদিক সরকারী দলের ভেতর ঢুকে গোপনে গোপনে বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বাধাগ্রস্তসহ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এই সকল সিন্ডিকেট সাংবাদিক নিজেদের মুখোশ পাল্টিয়ে সরকারী দলের সাথে মিশে বিভিন্নভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলসহ সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। এই সকল সাংবাদিক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে এবং সাংবাদিকদের কাছে ধরনা দিয়ে কৌশলে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে গজারিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।
উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুবাশশিরা বিনতে আলম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম দিন দিন স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে। তখনই একটি চক্র সাংবাদিক নাম দিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধি বেলা ১টা ২৫ মিনিটের সময় সরেজমিনে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে এবং ৫টা ৫০ মিনিটে ফোনে আমার সাথে কথা বলেন বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক। তবে হুমায়ুন নামে একজন ব্যক্তি ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে আমাকে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এমনকি ডাক্তাররা হাসপাতাল রেখে হানিমুনে গিয়েছেন কি না এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।
ভোক্তা অধিকারের একজন সক্রিয় সদস্য নওশেদ এবং একজন রোগী মোস্তফা আলমের বিবৃতি দিয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, গত রবিবার গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭৬ জন রোগী দেখা হয়েছে। কিন্তু নওশেদ এবং মোস্তফা নামের কোথাও উল্লেখ নেই এবং সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের কোথাও দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাকে ১টা ২৫ মিনিটের সরেজমিনের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার হাসপাতালে ছিল। তাদেরই থাকার কথা। বাকি ডাক্তাররা স্টেশনে যার যার বাসভবনে অবস্থান করছিল।
আমি চোখের ইনফেকশনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ছুটিতে আছি। উক্ত সাংবাদিকের কোনকিছু না জেনে উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসারসহ চিকিৎসক অনুপস্থিত এ ধরনের খবর প্রচার কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং এর সত্যতা কতটুকু?
উল্লেখিত ১৮ সেপ্টেম্বর গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে পুরুষ ১৭১ জন, মহিলা ২২২ জন এবং শিশু ৮৩ জন মোট ৪৭৬ জন রোগী সেবা পেয়েছেন। শুধুমাত্র ২ জন ডাক্তার উপস্থিত থাকলে এই বিপুল পরিমাণ সেবাপ্রার্থীরা সেবা কিভাবে পেল?
উল্লেখ্য, দক্ষ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন যাবৎ রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা পেয়ে আসছেন। কিন্তু এ হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি দালাল চক্র হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঐ সাংবাদিক খবর পাঠিয়েছেন তাদের এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট সাংবাদিক রয়েছে। তাদের সাথে বিকাল ৫টার মধ্যে দেখা করে তাদের আর্থিক সুবিধা না দিলে দৈনিক নয়াদিগন্তসহ সকল পত্র-পত্রিকায় এই সংবাদটি প্রচার করা হবে। যা এই প্রতিনিধির কাছে টেলিফোনের রেকর্ডসহ যাবতীয় প্রমাণাদি রয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশে ক্ষোভ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা
আগের পোস্ট