নিজস্ব প্রতিবেদক
অফিস খোলার প্রথমদিনে শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। পদ্মা পারাপারে লঞ্চ ও স্পীডবোটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে মানুষ।
গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে শিমুলিয়ার লঞ্চ, ফেরি ও স্পীডবোট ঘাটে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের গাদাগাদি করে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে মিশুক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এই নৌরুটে সকাল থেকে ১৪টি ফেরি চলেছে। লঞ্চ চলেছে ৮৭টি এবং প্রায় ৪০০ স্পীডবোট চলেছে।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যেহেতু গণপরিবহণ চালু করা হয়েছে সেহেতু যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকে সেটা দেখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এই সকল যাত্রীদের কারণে মুন্সীগঞ্জে করোনার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির অপেক্ষায় কোন যান নেই। দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীদের সংখ্যা খুব কম।
লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক মোঃ সুলেমান জানান, সকাল থেকে সবগুলো লঞ্চ চলছে। যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।
ঘাট এলাকার ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গমুখী পণ্যবাহী ২২৮টি ট্রাকসহ মোট এক হাজার ৭৫৩টি যান গেছে। ঢাকামুখী ১৮৩টি পণ্যবাহী ট্রাকসহ মোট তিন হাজার ২৪৪টি যান পার হয়েছে। আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি ভাড়ার ব্যাপারে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, যে সকল বাহনে করে যাত্রীরা যাচ্ছে সেগুলো গণপরিবহন নয়।