ডেস্ক নিউজ
বাস্তবতা কল্পনার চেয়েও বিস্ময়কর। বর্তমান সময় সম্পর্কে বলতে গেলে এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর নেই। করোনাভাইরাস নামের এক অদৃশ্য শত্রু গোটা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। ঘরবন্দি করে ফেলেছে কয়েকশ কোটি মানুষকে। ঘরবন্দি এই সময়টা অনেক কিছুই শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা কখনো ভাবতে পারি নি যে ঘরে বসেই অফিসের মতোই কাজ করতে হবে। আবার এই সময়টি এমন অনেক কিছুই শিখিয়েছে যা আমাদের প্রয়োজন কিন্তু এতদিন তা এড়িয়ে চলেছি।
ঘরবন্দি অবস্থা আমাদের সম্পর্ক এবং বিবাহ সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান পাঠও শিখিয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা যা শিখেছি তা আমাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিলে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
বিয়ে সমতার সম্পর্ক
যদি ঘরবন্দি অবস্থার সৃষ্টি না হতো তাহলে অনেক পুরুষই বুঝতে পারতেন না যে গৃহস্থালীর কাজ কতটা কঠিন। কারণ এসব কাজ সচারচর করে থাকেন বাড়ির নারীরা ও গৃহকর্মীরা। ঘরবন্দি অবস্থার কারণে এখন দম্পতিদের অফিসের কাজ ও বাড়ির কাজ একসঙ্গে করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ দম্পতি দুই জনে মিলেই ঘরের কাজ সারছেন আবার অফিসের কাজও। সমানভাবে ঘরের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। ঘরবন্দি অবস্থা শিক্ষা দিয়েছে যে সুখী পরিবারে সমতার গুরুত্ব কতখানি।
একসঙ্গে সুন্দর সময়
ঘরবন্দি অবস্থা আমাদের একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর গুরুত্ব শিখিয়েছে। এতদিন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য অনেক ছাড় দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন নিরবিচ্ছিন্ন সময়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে অনেক সময় কাটানোর কারণে একে অপরে আরও কাছাকাছি এসেছেন। লকডাউন আমাদের দেখিয়েছে যে কোনো দম্পতি যখন একসঙ্গে সময় কাটায় তখন তাদের একে অপরের সঙ্গে কতটা সুন্দর বন্ধন হতে পারে।
বিয়ে হলো টিমওয়ার্ক
অফিস যেমন অনেককে নিয়ে একটি টিম ওয়ার্ক, বিয়েও অনেকটা সেরকম। অফিসে বা কোনো টিমওয়ার্কে এক সদস্য যদি সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায় বা ব্যর্থ হয়। তখন কী ঘটে? পুরো দলটাই আলাদা হয়ে যায়। একই ভাবে একটি সফল দম্পতি একটি দলের মতো। স্বামী বা স্ত্রীর অসহযোগিতা এই বন্ধনে চিড় ধরাতে পারে। ঘরবন্দি অবস্থা আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে, যদি স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে তাদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তাহলে খুব সহজেই কঠিন সময় অতিক্রম করা সম্ভব।
ঘরবন্দি অবস্থার অবসান হলে দাম্পত্য জীবনে এই বিষয়গুলো জারি রাখা উচিত- যেগুলো আমরা এই কঠিন সময়ে শিখেছি।