নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা ও দক্ষিণ চরমশুরা গ্রামের রাস্তা ও একাধিক সেতুর বেহাল দশা বিরাজ করছে। এ পথের রাস্তাটি কোনভাবে ভেঙ্গে পড়লে যেকোন সময় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার শেষ সীমান্তের রমজানবেগ গ্রাম হয়ে চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণের চরমশুরা গ্রামের এ পথ দিয়ে বর্ষার চরের নবনির্মিত সেতু পার হয়ে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে যাওয়া যায়। কিন্তু শুরুর প্রথম পথের রমজানবেগেই রাস্তা খানাখন্দেতে ভরা। এখানটাতে রাস্তাটি ইউ সিস্টেমে। এরমধ্যে রাস্তার খানাখন্দের কারণে এখানে প্রতিদিনই কম বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এমনটিই জানিয়েছে এ পথের বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। সবকিছু মিলিয়ে এ পথটি অনেকটাই বড় বলে অনেকেই মনে করছেন। এখানে রাস্তার পরিধি যেমন অনেক বড়। আর সেই পথের বিভিন্ন রাস্তার অংশে এখন ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে। এ ভাঙ্গন এখুনি মেরামত করা না হলে যেকোন সময় এ পথের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। উত্তর চরমশুরা গ্রামের একটি অংশের কুয়েত গ্রামের রেলিং ভাঙ্গা সেতু পার হলেই পড়বে দক্ষিণ চরমশুরা গ্রাম। এখানে একটি বড় সেতু রয়েছে। সেই সেতুর দুইপাশের বেশিরভাগ অংশের রেলিং বর্তমানে ভাঙ্গা রয়েছে। সেই গ্রামের পাশে রয়েছে একটি বড়সড় খাল। এই খালের পানি মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হয়। এ খালের পাড়ের পূর্ব অংশের রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশেই এখন ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ খালের ভাঙ্গা অংশে গাইড দেয়াল নির্মাণ না করা হলে এ রাস্তার বেশিরভাগ অংশই যেকোন সময় খালে চলে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এখানে মেরামতের কাজটি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তেমনটি এ পথে ছোট বড় মিলিয়ে একাধিক সেতু রয়েছে। আর সেতুগুলোর বেশিরভাগ রেলিং বর্তমানে ভাঙ্গাচুড়া রয়েছে। তাতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। দক্ষিণ চরমশুরার কুয়েত গ্রামের পরের একাধিক সেতুর রেলিং বর্তমানে ভাঙ্গা রয়েছে। এ রেলিংগুলো বছরের পর বছর ধরেই ভাঙ্গা। মেরামতের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আবার এ পথে একটি সেতু রয়েছে এতোটাই সরু যে এ দিয়ে কোনভাবেই একটি রিক্সা পার হওয়াই দুস্কর। তারপরে এ সেতুর দুইধারে কোন রেলিংও নেই। এছাড়া এ সেতুর তলদেশের পাকা অংশের পেলেস্তার এখন খসে খসে পড়ে যাচ্ছে। এ সেতুতে যদি কোন বড় ধরণের যানবাহন পারাপারের চেষ্টা করে তবে এটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এখানকার মানুষ মনে করছেন। এ সেতুটি দক্ষিণের চরমশুরায় পড়েছে। আলীরটেক বাজারের পরে বর্ষার চরে যাওয়ার আগে এ সেতুটি বর্তমানে নিভু নিভু অবস্থানের জানান দিচ্ছে। এরপরে রয়েছে একটি সদ্য নির্মিত বড়সড় একটি সেতু। এ সেতুর উত্তর অংশের এপ্রোচের মাটি বর্তমানে সরে যাচ্ছে। এ সেতুর পশ্চিম দিকে খালের অংশ মাটি ভরাট করে ইতোমধ্যে গ্রামবাসী বসবাস শুরু করে দিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে এ বিশাল সেতুর অর্থ এখন জলে যাবার যোগাড় হয়েছে। সেই হিসেবে এ সেতুর অংশের খাল দিয়ে কোনভাবেই জল প্রবাহ হচ্ছে না। তাতে সেতুর তলদেশে মাটি ভরাট হলেই এ সেতুটি আর কোনভাবেই কাজে আসবে না বলে এখানকার মানুষ মনে করছেন। এ বিষয়ে চরকেওয়ার ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।