মাদক নির্মূলে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে – মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের চরমুক্তারপুরে এখন মাদক বিক্রি হচ্ছে নানা কৌশলে এমনটাই অভিযোগ করছে সচেতন নাগরিকরা। পুলিশ-প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব মাদকের ব্যবসা। হাত বাড়ালেই মিলছে নানা ধরণের মাদকদ্রব্য। একসময় শুধু গাঁজার রাজত্ব ছিলো এখানে। দিনের পর দিন গাঁজার পাশাপাশি এখন ভয়ঙ্কর মাদক ব্যবসা চলছে চরমুক্তারপুর এলাকার অলি-গলিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর আশেপাশের চরমুক্তারপুর এলাকাটি একটি শিল্পনগরী হওয়ার কারণে এখানে বিভিন্ন জেলা বা অঞ্চল থেকে মানুষ চাকরি বা ব্যবসা করতে আসে। স্থানীয় ও বহিরাগত মিলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে এই এলাকায়। আর এই সুযোগ নিয়ে এলাকার মাদকচক্র, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকের ডিলাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করছে। নারায়ণগঞ্জের শেষ ও মুন্সীগঞ্জের প্রথম বর্ডার হওয়ার কারণে চরমুক্তারপুর এলাকাটি মাদকের বর্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চরমুক্তারপুর ছাড়াও চরসৈয়দপুর, চরসন্তোষপুর, ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরী আশেপাশের এলাকাতেও চলছে মাদক বিক্রি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, মাদকের ভয়ানক থাবায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের অল্পবয়সী ছেলেরা। ধ্বংস হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। তাদের মতে, নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে বাড়ছে মাদক সেবনকারীর সংখ্যাও। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক তুলে দিচ্ছে উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে। যার মধ্যে বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। মা-বাবার চোখের সামনে মাদকাসক্ত হচ্ছে যুবক ছেলে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা অবগত আছি। স্থানীয়দের মাদকের ব্যাপারে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। আমরা মাদক নির্মূলে দ্রুত একটি সাঁড়াশি অভিযান চালাবো। মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। খোঁজ পেলেই এসব মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হবে।