নিজস্ব প্রতিবেদক : চাপ সামাল দিতে আকাশপথে কার্গো পরিবহন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ওই লক্ষ্যে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েও কার্গো পরিবহনের নেয়া হচ্ছে। মূলত ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বেড়েছে ঢাকা থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চাপ। আর ক্রমবর্ধমান ওই চাপ মোকাবেলা করতেই বেবিচক কার্গো পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল সমপ্রতি সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দুটি পরিদর্শন করে ক্যাটাগরি ১-এ উন্নীত হওয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে ওই দুটি বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে রফতানিকারকদের ভোগান্তি কমবে এবং বাড়তি অর্থ খরচের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। পাশাপাশি পণ্য দ্রুত আমদানিকারক দেশে পৌঁছানো যাবে। বর্তমানে ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ঢাকা থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চাপ বেড়েছে। আর ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবেলায় বাংলাদেশ থেকে কার্গো পরিবহন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই ঢাকার বাইরে থেকে কার্গো পরিবহনের উদ্যোগ।
সূত্র জানায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই বর্তমানে দেশের সিংহভাগ কার্গো পরিবহন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ঢাকা থেকে ৩৫টি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। যার প্রায় সবাই বেলি কার্গো (লাগেজ রাখার জায়গায় পণ্য পরিবহন) সুবিধা দেয়। তার বাইরে এমিরেটস, কাতার, টার্কিশ, সাউদিয়া ও ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনস আলাদা করে কার্গো পরিবহন করে। এ ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে বছরে গড়ে ২ লাখ ১০ হাজার টন পণ্য রফতানি হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সম্প্রতি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে সিলেট বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। তিনি টার্মিনালের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন। ওই সময় তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর আগেই বিদ্যমান অবকাঠামোতে শিগগিরই দুই-তিন গুণ বেশি কার্গো পরিচালনা করা হবে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্গো পরিচালক শাকিল মিরাজ জানান, কার্গো পরিবহন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। বেবিচকের সক্ষমতা এবং ব্যবসায়ীদের খরচের বিষয়টা মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঢাকার পাশাপাশি শিগগির সিলেট বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকেও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের সংস্থান করা হবে। তিন মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্য রয়েছে।