নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের দক্ষিণ পুরা গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি খাল দখল করে ছাগলের খামার ও মাছের খামার দিয়ে জমজমাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সোহেলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে গত সোমবার বিকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন যশলং ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাবু খান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় তিনি সরকারি খাল দখলকারী সোহেলকে খাল ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু সোহেল চেয়ারম্যানের কথা উপেক্ষা করে তার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খালের উপর ঘর নির্মাণ করে ছাগলের খামার এবং পাশে খালের চারপাশ ভরাট করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে সোহেল খান।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরা গ্রামের ওই খাল দিয়ে একসময় বর্ষাকালে নৌকায় করে মালামাল আনা-নেওয়া হতো। যশলং ইউনিয়নের পুরা গ্রামের আমিনুল খানের ছেলে সোহেল খান এই খাল অবৈধভাবে দখল করেন। পরে খালের চারপাশে মাটি ভরাট করে বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন এবং পাশেই ছাগলের ফার্ম নির্মাণ করে জমজমাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহেল খান বলেন, সরকার যখন বলবে তখন আমি সরকারি খালের জায়গা ছেড়ে দিবো।
যশলং ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাবু খান বলেন, খাল দখলের খবর পেয়ে আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করি। দখলদারকে বাড়িতে না পেয়ে মোবাইল ফোনে তাকে খাল দখলমুক্ত করতে বলা হয়। কিন্তু সে খালের জায়গা ছাড়তে রাজি হয়নি। পরে ইউনিয়ন তফসিল অফিস বরাবর জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে এসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক কামরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে বাঘিয়া ভূমি অফিসের নায়েব প্রিয়াঙ্কা মেডামের নির্দেশে গত মঙ্গলবার আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। সরকারি খালের জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।