নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে শহরাঞ্চলে বাসার ছাদের উপর গাছ লাগানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে। অনেকেই শাক-সবজি, ফুল-ফলসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশী গাছের বাগান গড়ে তুলেছেন বাসার ছাদে। গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার খালইস্ট এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি শিক্ষা অফিসার সানজিদা আক্তারের বাসায় তৃতীয় তলায় নিজ উদ্যোগ ছাদ বাগান তৈরী করেন। এক সাক্ষাৎকারে সানজিদা আক্তার বলেন, আমি ডাবল এম.এ অর্থনীতি ও শিক্ষা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকুরী এবং নিজের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পাদন করে পারিবারিক দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকে ছাদ বাগান নিজের হাতে তৈরি করে পরিচর্যা করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা টপ ফ্লোরে থাকি। এসি লাগানোর পরে ঠান্ডা হয় না। তখন ভাবলাম ছাদের উপর কিছু গাছ লাগাই। প্রথমে এইভাবে শুরু, এইভাবে হতে হতে একটা নেশা হয়ে গেছে। দেখা গেছে কোন একটা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গেলাম তখন আমার মনে হয় একটা নার্সারি থেকে গাছ কিনে নিয়ে আসি। এরকম করে করে একটা সময় ফলের গাছ থেকে আবার মনে হলো কিছু সবজির বাগান তৈরি করি। অফিস থেকে আসতে যদি সন্ধ্যা হয়ে যায় তবুও আমি একবার হলেও ছাদে আসি। এসে দেখাশোনা করি। গাছে প্রতিদিন একবার পানি দেই। এছাড়া গাছে ১৫ দিন পরপর জৈবসার দেই। কারণ মাটি তো একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ টবে। তাই জৈবসার দেই। আর ৩/৪ মাস পরপর কীটনাশক স্প্রে করি। আমার সংগ্রহে অনেক স্কুল আছে। প্রায় ২৫টা স্কুলের ছাদ বাগান আছে। আমি তাদেরকে বলেছি বাগান তৈরি করার জন্য। অনেকেই বাসার ছাদে বাগান করেছে। বাগান আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। আমার ছাদ বাগান নামে অ্যালবাম আছে ফেসবুকে। সেখানে আমি প্রতিনিয়ত ছাদ বাগানের ছবি আপলোড করি। এতে অন্যরা উৎসাহিত হয়।
গত ২ বছর যাবৎ যথারীতি এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি করেছেন সানজিদা আক্তার। ছাদ বাগানে ধনিয়া পাতা, দেশি শিম, টমেটো, বেগুন, কামরাঙ্গা, কমলা, কলাগাছ, পেঁপে, ডালিম, মাল্টা, আনার, কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে সাজিয়ে ছাদ বাগান তৈরি করেছে। ছাদ বাগানে কিছুক্ষণ থাকলেই মন মানসিকতার পরিবর্তন আসে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহমান থাকে।
ছাদের উপর শখের বাগান
আগের পোস্ট