নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ২৩ জুন উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাশ লেনে অবস্থিত ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীদের এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়-অত্যাচার অবহেলা-দুঃশাসন শোষণ-বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে এবং বাঙালির আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হলো বাংলার জনগণের ভালোবাসা; জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রয়োজনকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগের গতিপথ। গণমানুষের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েই নির্ধারিত হয়েছে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, নীতি ও কর্মসূচি।
১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর চলমান খাদ্য সংকটে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চরম অবহেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৫০’র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৬ এর শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও ৫৬ থেকে ৫৮ সময়কাল প্রদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার সাফল্য, ৫৮ এর মার্শাল ’ল বিরোধী আন্দোলন, ৬২ ও ৬৪ এর শিক্ষা আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ৬৬ এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আন্দোলন, ৬৮ এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯ এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান, ৬ দফা ভিত্তিক ৭০ এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খ্যাত কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, অতঃপর ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস, জেল-জলুম অত্যাচার-নির্যাতনের ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষা আত্মদানের ইতিহাস, বিসর্জন-অর্জন সাফল্য ও অগ্রগতির ইতিহাস। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলন অতঃপর স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই জনগণের প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে বাংলার মাটি ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে।
১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ যখন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয় তখন চরম খাদ্যাভাব ছিল। সেই দুর্ভিক্ষ অবস্থা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে কোটি কোটি নিরন্ন মানুষকে অনাহার থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিনÑ ‘শহীদ দিবস’। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই এফডিসি, জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন, ওয়াপদা গঠন, ফেঞ্চুগঞ্জে প্রথম সার কারখানা নির্মাণ, সাভার ডেইরি ফার্মের সূচনা, স্থায়ী শিল্প ট্রাইব্যুনাল গঠন, দেশের প্রথম প্ল্যানিং কমিশন গঠন, শিক্ষা সংস্কার কমিটি গঠন, প্রথম লেবার রেজিস্ট্রেশন আইন পাস, ঢাকা-আরিচা জাতীয় সড়ক নির্মাণ, কক্সবাজারে প্রথম পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, কৃষি ঋণের সার্টিফিকেট প্রথা বাতিল, রমনা পার্ক স্থাপন, উচ্চ ফলনশীল ধান উদ্ভাবন, পাওয়ার পাম্পে সেচ ব্যবস্থা চালু এবং ময়মনসিংহে দেশের প্রথম পশু চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন, রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য যথাক্রমে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট, চিটাগাং ডেভলপমেন্ট অথরিটি ও কেডিএ গঠন, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্ত্বেও প্রদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ভৌত-অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পের প্রসার এবং কৃষি ও সমবায়সহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যেমন বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হয়েছে ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ইতিহাসও সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ৩ কোটি ছিন্নমূল মানুষ, দেড় কোটি অগ্নিদগ্ধ ঘরবাড়ি, ১ কোটি শরণার্থীর প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন সমস্যা, শূন্য খাদ্য গুদাম, অনাবাদী জমি, অচল বন্দর, ডুবন্ত নৌযান, যোগাযোগ পরিবহন এবং আভ্যন্তরীণ নৌ ও সমুদ্র বন্দরের অচলাবস্থা, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো, মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধজনিত কারণে তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা বিরোধী ও ষড়যন্ত্রকারীদের নাশকতামূলক তৎপরতায় বিপর্যস্ত জনজীবন এমন চরম বিরূপ ও সঙ্কটাকুল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকারকে। তারপরও সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনসহ রক্তস্নাত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শূন্য হাতে একটি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার যে সফলতা অর্জন করেছিল তা বিস্ময়কর ব্যাপার। ১৯৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল শতকরা ৭.০৬ ভাগ। যা ১৯৭৬-১৯৮০ সালে (মুশতাক-জিয়া আমল) কমে দাঁড়ায় ৪.৭ ভাগ এবং ১৯৮০-৮১ হতে ১৯৮৫-৮৬ সালে (জিয়া-এরশাদ আমল) আরও হ্রাস পেয়ে মাত্র ৩.৬ ভাগে দাঁড়ায়।
১৯৭৩-৭৪ সালে উন্নয়ন ব্যয়ের শতকরা ৫৫ ভাগই অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে মেটানো হয়েছিল। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আমলে বিদেশী সাহায্য এসেছে মাত্র ১ হাজার ৮ শত ৩১ কোটি টাকা, যার সিংহভাগ ব্যবহৃত হয় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় যুদ্ধোত্তর পুনর্বাসন প্রকল্পে। অথচ জিয়াউর রহমানের বিএনপি সরকারের আমলে বৈদেশিক সাহায্য এসেছিল ১০ হাজার ৬ শত ৮৭ কোটি টাকা এবং এরশাদ সরকারের সময় বৈদেশিক সাহায্য এসেছে ৩৭ হাজার ৬ শত ৪১ কোটি টাকা। বিএনপি বা এরশাদ সরকারকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়তে হয়নি। কিন্তু তারপরও এই দুই আমলে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সকল সরকারের সময়ই দেশের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। জনগণের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। এজন্য সংগঠন আওয়ামী লীগকে সব থেকে বেশি মূল্য দিতে হয়েছেÑ অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের আদর্শ পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে খুনিচক্র কর্তৃক সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর অমনাবিক অত্যাচার-নির্যাতন জেল-জুলুম মামলা-হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছর এবং ১৯৭৫ থেকে ’৯৬ ও ২০০১ থেকে ২২০৯ সময়কালে জনগণের অধিকার ও মুক্তির সংগ্রামে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে, জেল-জলুম অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের মতো এতো ত্যাগ পৃথিবীর আর অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে করতে হয়নি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যৌবনের অর্ধেক সময় জেল বন্দি থাকতে হয়েছে, দুই বার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোসহীন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও এদেশের মাটি ও মানুষের প্রশ্নে কখনো পিছপা হয়নি। জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনাও মাতৃভূমির মুক্তি ও সমৃদ্ধির প্রশ্নে কখনো আপোস করেননি। এ দেশের মানুষের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার তথা স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দারিদ্র্যতা, খাদ্যাভাব, মঙ্গা, খরা ও দুর্ভিক্ষ কবলিত সমস্যা সঙ্কুল বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করেছেন। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে পিতার মতোই তাকে বারবার মুত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০ বার তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে। জেল-জলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্যবার। তারপরও তিনি পরাভব মানেননি।
শুধু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের উপরই নয়Ñ সংগঠন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। সংগঠনে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে একাধিক শীর্ষ নেতা সংগঠন ত্যাগও করেছেন। তারপরও সংগঠন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ভীতে কেউ ধ্বংসের আচরণ লাগাতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠনÑ এ দেশের মাটি ও মানুষের প্রতিষ্ঠান। জনগণের হৃদয়ে যে সংগঠনের স্থান, অজস্র নেতা-কর্মীদের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত যে প্রতিষ্ঠান সে সংগঠনকে বিনাশ করার ক্ষমতা কারও থাকে না।
আওয়ামী লীগ চির তারুণ্যের প্রতীক। সতত বিকাশশীল ও সম্মুখে প্রসারিত দৃষ্টির অগ্রসরমান রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মানে সামনে এগিয়ে চলা। আওয়ামী লীগ মানে পরাভব না মানা, মাথা নত না করা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কালজয়ী নেতৃতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ^ সভায় একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী নিজেদের জীবনবাজী রেখে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসী এবং আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সফল রাষ্ট্র নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান সংকট উত্তরণে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্। জয় আমাদের হবেই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।