নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বিশেষত এই করোনা মহামারীকালীন সময়ে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ^ স্যানিটেশন মাস, হাত ধোয়া দিবস এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় একথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত ও রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইসাথে এই সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে এবং নাগরিক জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, বিশেষত এই করোনা মহামারীকালীন সময়ে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, তেরশত নদী-জল পরিবেষ্টিত বিশে^র বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে দুর্যোগ মোকাবেলায় বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নিজস্ব তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। উপকূলীয় বাঁধ সংরক্ষণ, মজবুতকরণ ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একইসাথে পরিবেশের ভারসাম্য ও বনাঞ্চল রক্ষা, পানিসম্পদের উন্নয়ন, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা এবং সেচ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বহুমুখী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল’ এ তত্ত্বকথাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি, নির্ভেজাল ও সুষম খাদ্য, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ স্যানিটেশন। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিরাপদ ও আনন্দময় জীবনের জন্য অপরিহার্য। স্যানিটেশন ও সুস্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে স্যানিটেশনের মূল লক্ষ্যই রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করা, পরিবেশগতভাবে রোগ সংক্রামণ যাতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া। দেশের প্রত্যেকের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের যুগোপযোগী উদ্যোগের ফলে দেশে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে – অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট