নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা শুমারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে একযোগে জনশুনানি ও গৃহগণনার কার্যক্রম শুরু হবে। দেশে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজদিখানে প্রচার-প্রচারণাসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ উপজেলাকে ৬টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনে একজন করে জোনাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। উপজেলায় ৭০৯টি গণনা এলাকায় বিভক্ত করে ৬৯০ জন গণনাকারী থাকবেন। প্রতি গণনাকারী ৮০-১২০টি থানার তথ্য সংগ্রহ করবেন। এতে ১২৫ জন সুপারভাইজার নিয়োজিত থেকে ৫-৭ জন গণনাকারী তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। গণনাকারী বা তথ্য সংগ্রহকর্মীদের আগামী ৪ জুন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম তানভীরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে সভায় বক্তারা বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম পরিচালিত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে কর্মীদের ভূমিকা অন্যতম। রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি শুমারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীদের যথাযথ ট্রেনিং, অফলাইন ও অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি বিষয়টির তদারকি সঠিকভাবে করার আহ্বান জানান। সেইসাথে জনগণকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আজগর হোসেন, জৈনসার ইউপি চেয়ারম্যান হাজী রফিকুল ইসলাম দুদু, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বেলায়েত হোসেন, সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ আক্তার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ তাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ডলি রানী নাগ, উপজেলা আনসার ভিডিপি পরিদর্শক মরিয়ম বেগমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।