নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা জনবান্ধব ও সংকটজয়ী পরিকল্পনার অনন্য দলিল। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তার এই বাজেট বাস্তবায়নে সকলে সহায়ক ভূমিকা পালন করে দেশমাতৃকার কল্যাণে এগিয়ে আসুন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, গতকাল ১১ জুন ২০২০ মহান জাতীয় সংসদে মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন। এই বাজেটে করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা পুনরুদ্ধারের কৌশল প্রণিত হয়েছে। সুপরিকল্পিত এই বাজেট স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দের পাশাপাশি দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দৃপ্ত পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। যা জিডিপি’র ১.৩ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ৭.২ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩.০৪ শতাংশ যা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ দায়িত্ব পালনকালে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুজনিত কারণে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখ যোদ্ধাদের সম্মানী বাবদ ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবারের বাজেটে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যেকোন জরুরী চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনা প্রভাব বেড়ে গেলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতাল নির্মাণসহ আইসিইউ, ভেন্টিলেশন সাপোর্ট, কেয়ার সরঞ্জাম, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কীটসহ নানা যন্ত্রপাতি আমদানী এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের গবেষণা চলছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে আনার পরিকল্পনাও বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনকল্যাণকর ও সংকট মোকাবেলার এই বাজেট বাস্তবায়নে দল মত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামী দিনের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখার সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।