নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছটফটিয়া গ্রাম নিবাসী দিল মোহাম্মদ বেপারী, আলী আহম্মদ বেপারী, আলী আজম বেপারী, রফিকুল ইসলাম বেপারী, শাহ আলম বেপারী, শাহ মোয়াজ্জেম বেপারী ও সাখাওয়াত বেপারী তাদের প্রতিবেশী উত্তর রায়পুর নিবাসী আবুল কাশেম বেপারীর জায়গায় জবরদখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। এতে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবুল কাশেম বেপারী ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ব্রেইন স্ট্রোক করে বিছানায়। ইদানীং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পরিবার তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে দিল মোহাম্মদ গং তার জায়গায় জবরদখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। এই ব্যাপারে সমাজের লোকজন ও গ্রাম সালিশ নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা তার কোন তোয়াক্কাই করছেনা। জোর করে বাড়ির ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার পায়তারা করছে। যদি কোন ফয়সালা না করে জোর করে বাড়ির ঢালাই কাজ করে তাহলে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এই ব্যাপারে দিল মোহাম্মদ গং এর কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। কাশেম বেপারীর ছোট ছেলে নুর মোহাম্মদকে পাওয়া গেলে সে বলে, তারা আমার আব্বার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে জোর করে আমাদের জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। বাধা দিলে আমাকে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমাকে যদি তারা মেরেও ফেলে তবুও আমার পৈতৃক ভিটায় জোর করে আমি ছাদ ঢালাই করে নির্মাণ করতে বাধা দিব। বৈধ কাগজপত্র ও দলিলের কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ৪ নং জে এল, পূর্ব রায়পুর মৌজার ১৪ খতিয়ানের সাবেক ও হাল ১নং দাগের মোট ৩২ শতাংশ জায়গায় আমার পিতা ও দুই চাচা আট আনায় ১৬ শতাংশের মালিক এবং আরো সাড়ে ৫ শতাংশ দিল মোহাম্মদ গং এর পিতা ইয়াজউদ্দিন বেপারী হইতে আমার পিতা দলিলমূলে মালিক এবং ৫নং খতিয়ানের ২ নং ও ৩ নং দাগের ৫ শতাংশ একই দলিলের মালিক। যাহার দলিল নং ১৪৫৩/২২/১৩৭-১৪০/১৯৮১ইং টঙ্গীবাড়ী সাব রেজিস্ট্রার। কিন্তু দিল মোহাম্মদ গং ১, ২, ৩ দাগের ১৬ আনা সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ১২ নং খতিয়ানের ৬ দাগের জায়গার ৩৭ শতাংশ ১৬ আনাই আমাদের এতে তাদের ১ আনাও অংশ নাই। কিন্তু জোর করে ৬ নং দাগে বাড়ির ভবন নির্মাণ করছে। আমি প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। নয়তো আমার পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা করতে গেলে তারা আমাকে মেরেও ফেলতে পারে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আগে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জবরদখল করে পাকাবাড়ি নির্মাণ ; যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা
আগের পোস্ট