নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ উৎপাদন হয় বিভিন্ন রকমের জাল। সরকারের পক্ষ থেকে মনোফিলামেন্ট জালকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও অন্যান্য জালগুলো তৈরি করে ব্যবসা করার অনুমতি রয়েছে। বিভিন্ন সময় জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে নির্দিষ্ট তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে মনোফিলামেন্ট জাল উদ্ধার করে সেগুলো ধ্বংস করে। কিন্তু নদী ছাড়া শুকনো জায়গায় মনোফিলামেন্ট জালসহ বিভিন্ন জালের কারখানায় নৌ পুলিশের অভিযানকে অবৈধ বলে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে এবার সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট করেন এক ভুক্তভোগী। রিটকারী ভুক্তভোগী শামিম দেওয়ান জানান, নদীর তীর থেকে আমার জাল তৈরির কারখানা ২৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। সাধারণত নৌপুলিশ বিধিমালা মতে (২০২০ এর ৬ এর খ বিধি), নদীর তীর থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত নৌ-পুলিশের অভিযান চালানোর অনুমতি রয়েছে। কেন নদীর তীর থেকে ৫০ মিটারের পরে জাল উৎপাদন, মজুদ, বহন, বিপণন ক্ষেত্রে হয়রানি করা থেকে বিরত হওয়া যাবে না মর্মে হাইকোর্ট রুল নিশি জারি করেন। হাইকোর্টের বিচারক মামনুন রহমান ও খন্দকার দিলিরুজ্জামান এর যৌথ ব্রাঞ্চ এই রুল নিশি জারি করেন। হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারক ৭ দিনের মধ্যে নৌপুলিশকে এই রুলের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। রিটকারী জানান, নৌপুলিশ তাদের নদীতে নিয়মিত অভিযান না চালিয়ে মনোফিলামেন্ট জালসহ অন্যান্য জাল উৎপাদন বন্ধের অভিযান শুরু করে। হাইকোর্টে রিটকারী শামিম দেওয়ান আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার নৌ-পুলিশের বৈধতা আছে কিনা, তা জানতে আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করেছি। আমার রিটের নাম্বার ২১৫০/২০২০ তারিখ ৩/৩/২০২২ইং। যাদের বিরুদ্ধে রুল নিশি জারী করা হয়েছে তারা হলেন – ১. ডিআইজি, নৌ পুলিশ ২. পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ৩. পরিদর্শক, মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ক্যাম্প ৪. উপ-পরিদর্শক, মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ক্যাম্প। এই বিষয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে এমন খবর আমরা শুনেছি, কাগজ হাতে পেলে আমরা আইনত এর মোকাবেলা করবো।