নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৯ অক্টোবর
দেশজুড়ে আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি জীবন দিলেও কোনো কিছুতে নত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষের প্রতিহিংসার বলি হয়ে আগুনে প্রাণ দেওয়া নুসরাতকে অত্যন্ত সাহসী আখ্যা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, নুসরাত অত্যন্ত সাহসী মেয়ে। সে জীবন দিয়ে গেছে, কিন্তু অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা রেখে গেছে। সে কোনো কিছুতেই নত হয়নি।
মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আজারবাইজান সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি এই হত্যা মামলার রসহ্য উম্মোচনসহ পুরো সময়ে সাংবাদিকদের অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন মামলার বিচার হচ্ছে। নুসরাত হত্যা দ্রুতবিচারের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই বিচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা যেটা ছিল, নুসরাত নিজেই জবানবন্দি দিতে পেরেছিল। যেকোনো হত্যা মামলার ক্ষেত্রে চাক্ষুস সাক্ষী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় সাক্ষীর অভাবে মামলায় অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া যায় না, কিছু ঝামেলা হয় এটা ঠিক। তবে নুসরাত হত্যা মামলার ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি।
নুসরাত হত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার ক্ষেত্রে জনমতও তৈরি হয়েছিল দেশব্যাপী। আপনাদেরও (গণমাধ্যম) বড় ভূমিকা ছিল। আপনাদের কারণে অপরাধীদের চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে অনেক কাজই দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে সাহসী মেয়ে নুসরাত হত্যার মামলার রায় দ্রুত দেওয়া গেছে। এটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। পাশাপাশি অন্য মামলাগুলোতেও যেন দ্রুতবিচার হয়, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে গিয়ে বেশি মামলার জন্য হিমশিম খেয়ে হচ্ছে এমন মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পর মামলার পরিমাণ বেড়েছে, মামলা জট তৈরি হয়েছে। আগে তো অনেক মামলাই ম্যাজিস্ট্রেসি কোর্টে (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) শেষ হয়ে যেত। এখন সব মামলাই বিচার বিভাগে নিষ্পত্তি হতে হয়। ফলে মামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এখন বিচার বিভাগ বিচারাধীন মামলার পরিমাণও শেষ করতে পারছে না।