নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ প্রজন্ম গঠনে নিয়মিত পাঠ্যাভ্যাস, শরীর চর্চা তথা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।
গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার পোড়াচক বাউশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও এনডিসি মুহম্মদ লিয়াকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হাজী মোঃ হাসান জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক মিঠু, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ মিয়া প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা তরুণ প্রজন্মকে মাদক, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা মানসিক বিকাশ ঘটায়, ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং মানবিক আচার-আচরণের অনুশীলন ঘটায়। যুবসমাজকে যদি চিত্ত বিনোদন ও খেলাধুলার মধ্যে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে তাদের ভিতর অপরাধ প্রবণতা বাসা বাঁধতে পারবে না, তাদের মানসিক বিকাশ হবে- মানবিকতাবোধের জন্ম হবে। বাংলাদেশকে যেন আগামী দিনে নেতৃত্ব দিতে পারে, আমাদের আজকের ছেলে-মেয়েদেরকে সেভাবেই নিজেদেরকে গড়ে তোলার জন্য আমি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পাঠ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীর চর্চা তথা খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা অপরিচার্য। নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ সম্ভব হয়ে ওঠে। অন্যথায় শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যায় একজন শিক্ষার্থীকে কখনোই প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এজন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা এবং প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে হবে। খেলাধুলা, সঙ্গীত চর্চা, সাংস্কৃৃতিক প্রতিযোগিতা- লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রচনা, হস্ত লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ হয়। খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদন চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিপদগামিতা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ করে দেয়া অপরিহার্য। তবেই মেধা ও মনন বিকাশে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে।