নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা-দীক্ষা ক্রীড়া-সংস্কৃতি ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। আগামী প্রজন্মকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্নসাধ বাস্তবায়ন করতে হবে।
গতকাল সোমবার রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার বসুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বেপারি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান আলহাজ্ব বাচ্চু শেখ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, বজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পদ্ধতি এবং বিজ্ঞানমনস্ক জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকতে হলে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতৃত্বে অগ্রসরমান অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করেছেন। যার অন্যতম প্রাণ-সঞ্চারী পদক্ষেপ হলো- ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের মজবুত ভীত রচনায় প্রয়োজন শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জন। উন্নয়নের জন্য নিত্যনতুন উদ্ভাবন আর আবিষ্কার। প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতি সঞ্চার করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি জাতি-রাষ্ট্রের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের প্রধান শর্ত হলো- নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলাÑ দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটেছে।