নিজস্ব প্রতিবেদক
মেয়ের জামাই আর মেয়ের মধ্যে বনিবনা নিয়ে চলছে মনোমালিন্য। জামাই স্থানীয়দের জানানোর কারণে ক্ষেপে গিয়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শাশুড়ি। টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর উত্তরপাড়ার প্রবাসী জাকির শেখের স্ত্রী ময়না বেগম মেয়ে জামাই একই গ্রামের আনোয়ার ফকিরের ছেলে রবিন ফকিরসহ গ্রামবাসী ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় গ্রামটিতে চলছে উত্তেজনা। থানায় অভিযোগ করেই ক্ষ্যান্ত হননি শাশুড়ি প্রতিদিন অশ্লীল ভাষায় বকাবকিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রাসী এনে হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান এলাকাবাসী। এ ঘটনায় স্থানীয় ৫০ জন গন্যমান্য ব্যক্তি সঠিক বিচার ও গ্রামবাসীকে হয়রানী করার বিষয়ে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। ময়না বেগম মেয়ের জামাইয়ের তথ্য গোপন করে অভিযোগ করেন- গত ১১ এপ্রিল বিকালে পূর্ব আক্রোশে রবিনসহ ৭ জন আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে গালিগালাজ করে আমার মেয়ে জান্নাত ও তানজিলাকে শরীরে আঘাত করে। রবিন আমার মেয়ে জান্নাতের পায়ের আঙ্গুল কাটে, বাবু মাদবর মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটায় আর সবুজ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় পরে স্থানীয় ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের পর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষেরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির সাথে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে। রবিন জানান, আমি প্রেম করে জান্নাতকে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিয়ে করি। আমার বিয়ের পূর্বে বলইগ্রামে তার একটি বিয়ে হয়েছিল। আমি বিয়ের ৭ দিন পর বিদেশ চলে যাই। বিদেশ যাওয়ার পর জান্নাত আমার ফোন ধরত না। আমি ৩ মাস পর দেশে চলে আসি। দেশে আসার পর আমার স্ত্রী আমার সাথে সংসার করবে না বলে জানায়। তার নাকি অন্যত্র বিয়ের কথা চলছে। আমি আমার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বশুরবাড়ী গেলে আমাকে মানিক ফকিরের পুত্র আমিনুল, নূর ইসলাম আমার শাশুড়ি ময়নাসহ চাচী শাশুড়ি সেলিনা বেগম আমাকে লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করে। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করার কারনে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ধীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মোল্লা জানান, রবিন তার স্ত্রীর জন্য পরিষদে নোটিশ করেছিল। নোটিশ করায় তাকে মারধর করা হয়েছে শুনেছি। স্থানীয় আবু ছালাম মোল্লা, কালাম মাদবর, সুমন শেখ, রিয়াদ হাসানসহ ৫০ জন গন্যমান্য নিরপরাধ ব্যক্তিদের পুলিশি হয়রানী, সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকির সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন। ময়না বেগম জানান, আমি বলছি ভাইরাসের পর আমি মাইয়া দিমু ওই লোকজন লইয়া আইছে, মারপিট করতে ও সব মিথ্যা বলে।