টঙ্গীবাড়ির ৩০ মণ ব্লাক ডায়মন্ডের দাম ২০ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানীর জন্য অনেক খামারী বিভিন্ন জাতের বড় বড় গরু বানিয়েছেন। দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত ব্রাহমা জাতের বিশাল দেহের কালো রঙের একটি গরু যার ওজন প্রায় ৩০ মণ বা ১১১০ কেজি। এর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, বুকের বের ১০৮ ইঞ্চি, লেজ থেকে মাথা পর্যন্ত ৮৬ ইঞ্চি। যার নাম রাখা হয়েছে ব্লাক ডায়মন্ড। মুন্সীগঞ্জের এই ব্লাক ডায়মন্ডকে এবার কোরবানীর পশুর হাটে ২০ লাখ টাকায় বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন তার মালিক শরীফ ঢালী।
এবার কোরবানীর ঈদে ঢাকার পশুর হাটে যাচ্ছে মুন্সীঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুর্ব সোনারং গ্রামের শরীফ ঢালীর ব্লাক ডায়মন্ড। আমেরিকান ব্রাহমা জাতের বিশাল দেহের কোরবানীর জন্য তৈরী গরুটি দেখার জন্য শরীফ ঢালীর বাড়িতে ভির করছে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আর এলাকার লোকজন সব সময় দেখতে আসেন। এলাকাবাসী মনে করেন এটা সবার দ্বারা সম্ভব না। এ উপজেলায় এটি সবচেয়ে বড় গরু বলে তারা মনে করেন। আবার কারো কারো শখ বা ইচ্ছে হয় এমন গরুর খামার করার জন্য।
শরীফ ঢালী বলেন, আমার ব্লাক ডায়মন্ডের বয়স এখন চার বছর। এটি আমার পালের গাভীতে আমেরিকার ব্রাহমা জাতের বীজ দিয়ে প্রজনন করেছিলাম। এখন ওকে দেখাশোনার জন্য ৩জন লোক রেখেছি। ওকে কোন ধরনের ভেজাল কিছু খাওয়াই না, পুষ্টিকর নেচারাল খাবার খাওয়ান তিনি। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, ছোলার ভুসি, খইল, কলা, আলু, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁঠাল খাওয়াই। এটার ওজন এখন প্রায় ৩০ মণ, ২০লাখ টাকা টার্গেট বিক্রির।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রাণি সম্পদ উপ-সহকারি কর্মকর্তা সানাউল্লাহ মৃধা জানান, এটি ব্রাহমা জাত ইন্ডিয়ান, শতবর্ষ গবেষণা করে আমেরিকানরা এ বীজ উৎপাদন করছে। এর মাংস মানুষের জন্য উপকারি। এর মাংসে ফ্যাট নাই। সরকার আমদানী করেছে আমরা ব্যবহার করেছি কাজ হয়েছে।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সৈকত বলেন, এ উপজেলায় শরীফ ঢালীর গরুটি সবচেয়ে বড়। তিনি প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা তাজা করেছেন। যদি কেউ অবৈধভাবে মোট তাজা করে তার মধ্যে একটা সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। যেটা প্রাকৃতিক উপায়ে হৃষ্টপুষ্ট সেটা নড়াচড়া করবে, মাথা নাড়াবে, কান নারাবে, কোন কোনটা গুতোতে আসবে এক কথা চঞ্চল থাকবে। আর অন্যগুলো চুপচাপ থাকবে নড়াচড়া কম করবে। মাংস পেশীতে চাপ দিলে দেবে যাবে ধীরে ধীরে ঠিক হবে।