নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে খোলা জায়গায় হলুদ-মরিচ ও চাউল গুঁড়া করা হচ্ছে। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীনের কাছে গুঁড়ি ভাঙ্গার মেইলটি স্থান পরিবর্তনের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন- আব্দুলাহপুর ইউনিয়নের উত্তর পাইকপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে মীর শহিদুল্লাহ। অভিযোগে তিনি বলেন, উত্তর পাইকপাড়া জিয়সতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এলাকার বসতবাড়ি সংলগ্ন একটি অবৈধ হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার শস্য গুঁড়া করার মেইল দিয়েছে ওই অঞ্চলের মৃত কাশেম মীরের ছেলে আব্দুল সাত্তার মীর। তার মেইলের মটর থেকে ব্যাপক শব্দ দূষণ ও গুড়া মরিচ-হলুদের ঝাঁঝে নাক চেপে থাকতে হয় আশেপাশের লোকজনের। ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে এ কাজ করায় বাতাসের সঙ্গে এই গুঁড়া মিশে পরিবেশ দূষিত করছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই বিদ্যালয় ও বাড়ির পাশে থাকা অবৈধ মেইলটি স্থান পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ. সাত্তার মীর জানান, এখানে শুধুমাত্র বাচ্চাদের পুষ্টির জন্য চাউল-ডাল গুঁড়া করা হয়। এখানে কারো সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে আব্দুলাহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ. রহিম মিয়া জানান, এলাকাবাসী আমার কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। আমি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সে আমার কথাও রাখেনি। তাই বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আমিও লিখিত পত্র দিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।