নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব ডিলার সোবাহান বাগজার খাদ্য ডিলারের বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ডিলারশিপ দূর্নীতির অভিযোগে বাদ হওয়ার পরেও তার দূর্নীতির সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এ নিয়ে তদন্ত চলছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ গত সোমবার দুপুরে টঙ্গীবাড়ীতে এ ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্তে আসেন। এর আগে বেতকা ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল চুরির অভিযোগ উঠে ওই ইউনিয়নের ডিলার সোবহান বাগজার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল দীর্ঘদিন যাবৎ চাল বিক্রির ডিলার সোবহান বাগজা কার্ডধারীদের না দিয়ে বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। এছাড়াও তিনি একাই নিজ নামে প্রভাব খাটিয়ে বেতকা ইউনিয়নের ১০ টাকা কেজি মূল্যের হতদরিদ্রের চাল বিক্রির ডিলার এবং সরকারের ওএমএস ডিলার দুটি ডিলারের লাইসেন্স নিয়েছিলেন। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনএসআই ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে সোবহান বাগজার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে। টিউবওয়েল ও ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে এলাকাবাসীর কাছ হতে তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শ্যামল সরকার জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা তদন্ত করেছে। তারা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে। দূর্নীতির পিছনে এই ডিলার ছাড়াও আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে সোবহান বাগজার দূর্নীতির অভিযোগে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। ওই স্থানে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।