নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ভাড়া বাসায় আলু তোলার কাজে নিয়োজিত এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর ধর্ষক বাবু মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়। এতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার আসামী বাবু মোল্লাকে গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত বাবু মোল্লাকে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-৪ প্রেরণ করা হলে বিচারক নুসরাত শারমিন তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমলি আদালত-৪ এর জিআরও এএসআই মোঃ ইব্রাহিম।
ধর্ষক বাবু মোল্লা সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সিরাজুল ইসলামের ভাতিজা ও উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের মোঃ সামসুল মোল্লার ছেলে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। আলুর মৌসুমে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় শ্রমিকের কাজ করতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আসেন স্বামী। শ্রমিক স্বামী বলেন, আলু তুলতে এসে উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের নাঈম মোল্লার বাড়িতে তিনি ও তার স্ত্রী বসতঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। গত ২০ মার্চ বিকেলে স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে স্থানীয় বালিগাঁও গ্রামের সামসুল মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ১০০ টাকা তার স্ত্রীকে দিয়ে বলেছে, যত টাকা লাগে আমি দিব। কাউকে কিছু বলবি না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষক বাবু মোল্লা ওই নারী শ্রমিকের ভাড়া বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে ও টঙ্গীবাড়ী থানায় মামলা রুজু হলে ধর্ষক বাবু মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়। এছাড়া বাবু মোল্লার পিতা সামসুল মোল্লা ধর্ষণের শিকার নারীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত রোববার রাতে ধর্ষক বাবু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আসামীকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।