নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন ভেঙ্গে বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পুরাতন একটি ভবন অজ্ঞাত ক্ষমতার দাপটে ভেঙ্গে মালামাল বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। ভাঙ্গনের দায় নিয়ে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। সরকারি সম্পত্তি নিলাম ছাড়াই ভবন ভেঙ্গে মালামাল বিক্রি করায় ওই কর্মকর্তার বিচার চাইলেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রবেশ পথে পুরতান প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দুটি পাকা ভবনের মধ্যে একটি ভবন পরিচ্ছন্নতার নামে নিলাম বা অনুমতি ছাড়াই ভাঙ্গার কাজ করে শুরু করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম দেওয়ান। ইতিমধ্যে দু’টি ভবনের মধ্যে একটি ভবন ভেঙ্গে মালামাল বিক্রি করে দিয়েছেন। সরকারি কোষাগারেও টাকা জামা রাখেননি এই কর্মকর্তা। স্থানীয় বাসিন্দা বাক্কার বেপারীসহ বহুজনের কছে পুরাতন ইট-রড বিক্রি করেছেন। আরও একটি ভবন ভাঙ্গার পায়তারা করছেন তিনি।
গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পুরাতন দুটি ভবনের মধ্যে একটি ভবন ভেঙ্গে ফেলে মালামাল বিক্রি করে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। সেখানে দুটি ভবনের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ভবন রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম দেওয়ান জানান, মাদকের আখড়া, অপরিষ্কার নোংরা থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মুঠোফোনের নির্দেশে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কুমোত রঞ্জন মিত্রকে জানিয়ে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাসেদুজ্জামান জানান, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নিলাম কমিটি সদস্য সচিব প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম জানান, ভবনের কোন নিলাম হয়নি।
উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মোঃ নাহিদ খান জানান, সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে ভবন ভাঙ্গা প্রয়োজন ছিলো। যদি তিনি নিয়ম না মেনে থাকেন তাহলে প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।