নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বর্ষার ভয়াবহ নদী ভাঙন এখনো ভুলতে পারেনি টঙ্গীবাড়ীবাসী। সামনে বর্ষা মৌসুম। এসময় পদ্মার ভাঙন তীব্র হয়ে উঠে। ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে যায় নদীগর্ভে। গত বর্ষার প্রায় ৩শ ফিট নদীর তীরের জমি এবং বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। এবারোও সেই ভাঙনের আশঙ্কায় ভুগছেন নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষজন। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল ইউনিয়নের মাছবাজারের পশ্চিম পাশের্^ পদ্মা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় ভাঙন আতঙ্কে এখানকার তীরবর্তী গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বর্ষায় হাসাইল মাছবাজারের পশ্চিম পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকান, ফসলী জমি এবং বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী পাঁচগাঁও ইউনিয়নের গরুরগাঁও সীমানা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, হাসাইল বাজারের পশ্চিম পাশে থাকা পাইকারী মাছের আড়ৎ থেকে গারুরগাঁও বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৬ শ মিটার এলাকা জুড়ে নদী রক্ষা বাঁধ নেই। গত বর্ষায় ঐ স্থানটির প্রায় ৩শ ফিট নদীর তীরের জমি এবং বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। এখানে বাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও এ বছর বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এবার বর্ষার সময়ে তীরবর্তী বাসিন্দারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত দাস বলেন, পদ্মা তীরের হাসাইল মাছবাজার হতে গারুরগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৬ শ মিটার এলাকায় একটি গ্যাপ রয়েছে। সেখানে বাঁধ নির্মাণের বাজেট চাওয়া হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একনেকে পাশ হবে। তবে আমরা আশাবাদী, আগামী শুকনো মৌসুমে এখানে বাঁধ নির্মাণ করা শুরু করতে পারবো।