নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ভোরন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ লিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট গত রোববার বিকালে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে অভিভাবকদের পক্ষে বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন বরুন শিকদার। অন্যদিকে রোববার রাতে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পপি ব্যানার্জী বরুনসহ ৪/৫জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত রোববার সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ৫ শত টাকা করে ৩০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করে মনোনয়ন বিতরণ স্থগিত করে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পপি ব্যানার্জী। একাধিক অভিভাবক ও দাতারা মনোনয়নপত্রের জন্য বিকাল ৩টা পর্যন্ত স্কুলের মাঠে অপেক্ষা করলে মনোনয়ন ফরম নাই বলে সাফ জানিয়ে দেন পপি ব্যানার্জী। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না পেরে অভিভাবক ও দাতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে অভিভাবক মোসলেহ উদ্দিন বরুন, মোজাম্মেল শিকদার, জমিদাতা ও অভিভাবক জয়নাল শিকদার, আঞ্জুমান আরা, গিয়াস উদ্দিন পিয়ার, জিয়াসমিন বেগম ও তাজুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজন প্রধান শিক্ষিকার অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে পপি ব্যানার্জী তাদেরকে বের করে দেন। বরুন জানায়, স্থানীয় মজনু মেম্বার ও মুক্তার মেম্বারের কারসাজিতে প্রধান শিক্ষিকা পপি ব্যানার্জী নিয়ম বহির্ভূতভাবে মনোনয়ন বিতরণ স্থগিত করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে দিয়েছে। গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় টঙ্গীবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম রসুল মোল্লা ভোরন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করতে যান। এ সময় পপি ব্যানার্জী স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না। মজনু ও মুক্তার মেম্বার তাদের বিরুদ্ধে বরুনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি করতে চেয়েছিলেন। পপি ব্যানার্জীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, মনোনয়নপত্র বিতরণে দেরি হলে বরুনসহ ৪/৫ জন তার অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দেয়। ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম রসুল মোল্লা জানান, প্রধান শিক্ষিকা পপি ব্যানার্জীর অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে গ্রামবাসী দু’পক্ষের সংঘর্ষ যাতে না বাধে সে লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।