নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে প্রশ্ন ফাঁসে দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে কাইচ মালদা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, আলহাজ্ব কাজী কাওসার হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও কাইচ মালদা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার সুপার একই ব্যক্তি মোঃ কাজী কাউছার। দুটি প্রতিষ্ঠানে গত ২৭ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিনে একই বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আলহাজ্ব কাজী হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসার সুপার তা না মেনে মনগড়াভাবে দুইদিন আগেই ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা নিয়েছেন।
সকাল ৯টায় কাইচ মালদা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা জানান, এ প্রশ্ন দিয়ে পাশের মাদ্রাসায় পরীক্ষা হয়ে গেছে। তাই তারা এ প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিবে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষার দুইদিন আগেই প্রশ্নফাঁস হওয়ায় তাদের শিক্ষার মেধা যাচাই হবে না। তাই যারা এ প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের যেন প্রশাসনের মাধ্যমে বিচার হয়।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব কাজী কাওসার হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল কালাম জানান, ঢাকা থেকে আমরা প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নিয়ে থাকি। আমাদের এখানে পাশাপাশি দুটি মাদ্রাসার প্রশ্ন এক হওয়ায় আমরা পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছি। পুনরায় নতুন প্রশ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আলহাজ¦ কাজী কাওসার হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও কাইচ মালদা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার সুপার মোঃ কাজী কাউছার জানান, আমার নামে অভিযোগটি মিথ্যা। আমি আলহাজ্ব কাজী কাওসার হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার প্রশ্নের ব্যাপারে কিছু জানি না। ঢাকা আলফাতাহ পাবলিকেশন থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আজ ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা চলছিল। যখন শুনেছি দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রশ্ন একরকম। তখন আমি দুই মাদ্রাসায় পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছি। নতুন প্রশ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা খালেদা পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা একাডেমি সুপার মোঃ হান্নান জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানেই গিয়েছিলাম। ইংরেজী ১ম পত্র প্রশ্নটি দিয়ে আলহাজ্ব কাজী কাওসার হামিদ মডেল দাখিল মাদ্রাসায় হয়ে যাওয়ায় কাইচ মালদা ওয়াহেদ আলী হাওলাদার মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ রাসেদুজ্জামান জানান, পাশাপাশি দুটি মাদ্রাসায় একই রকম প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা চলায় তা স্থগিত রাখা হয়েছে।