নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেশনাল চৌরাস্তার ঐতিহ্যবাহী পুকুরের সরকারী জমি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পুকুরের পূর্ব পাশের মুক্তারপুর-দিঘীরপাড় রাস্তার সড়ক ও জনপদের জমি ভরাট করে কাঠ ও টিন দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই স্থানে অভিযান চালায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। অভিযান চালিয়ে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ওই জমি হতে উচ্ছেদ করে তারা। পরে ওই এলাকার দুইজন প্রভাবশালী মিলে উচ্ছেদকৃত স্থানসহ পুকুরের বিস্তীর্ণ অংশ ভরাট করে সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এছাড়া পুকুরের দক্ষিণ পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশ দখল করে বালি ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ চলছে। সরেজমিনে গতকাল শনিবার গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দিঘীরপাড়-মুক্তারপুর সংযোগ সড়কের বেশনাল চৌরাস্তার বিশাল পুকুরটির পূর্বপাশের সড়ক ও জনপদের জমি এবং দক্ষিণ পাশের সরকারী রাস্তার জন্য একওয়ারকৃত ও অর্পিত সম্পত্তি ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পূর্ব পাশের সড়ক ও জনপদের জমির উপরে টিন ও কাঠ দিয়ে বিশাল আকৃতির দোকানঘর নির্মাণ করে সম্প্রতি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পুকুরের দক্ষিণ পাশের বেশনাল-কামাড়খাড়া সংযোগ সড়কের উত্তর পাশের বিস্তীর্ণ অর্পিত সম্পত্তি ভরাট করে খাম পুঁতে দোকান নির্মাণ চলছে। বৃষ্টির মধ্যেও পুরো দমে চলছে নির্মাণ কাজ। স্থানীয় বেশনাল গ্রামের মান্নান দেওয়ান ও হারিছ কাজী এ নির্মাণ কাজ করছেন বলে নির্মাণ শ্রমিকরা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, ঐতিহ্যবাহী পুকুরটির একপাশে সড়ক ও জনপদের অপরপাশে সরকারী অর্পিত সম্পত্তি। কিন্তু কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই সম্পত্তি দখল কর দোকানঘর নির্মাণ করছে কতিপয় প্রভাবশালী। এ ব্যাপারে মান্নান দেওয়ান ও হারিছ কাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ওই সম্পত্তি ২০০২ সালে মোতাহার খন্দকার নামের এক লোকের কাছ হতে ক্রয় করেছে বলে দাবী করেন। তারা আরো বলেন, যদি তাদের দখলীয় স্থান সরকারী সম্পত্তিতে পড়ে থাকে তবে তারা তা ছেড়ে দিবেন। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উছেন মে জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়ক ও জনপদের উপ-প্রকৌশলী সৈয়দ আলম জানান, করোনার কারণে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অনেকটা থমকে আছে। তারপরেও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।