নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পছন্দের লোক এবং যেকোন মিটিংয়ে নেতার পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জানান দেয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সিন্ডিকেট গ্রুপ টঙ্গীবাড়ীতে অবৈধ মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রত্যেকেই স্থানীয়দের নিকট ভূমিখোর নামে পরিচিত। উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ ও ধীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নগরকান্দির সাবেক মেম্বার আ. হাকিম দেওয়ান এই অবৈধ ফসলি জমির মাটি কাটার সাথে জড়িত। হাকিম দেওয়ান মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের নিয়ন্ত্রণে উপজেলার সরকারী স্বার্থ জড়িত জমিতে মাটি ভরাট, কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মাটি ভরাটসহ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন। এদের প্রত্যেককে শেল্টার দেয় উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। তাদের অবৈধ আয়ের একটি অংশের ভাগ পায় বলে তারা যা ইচ্ছে তাই করলেও তাদের কেউ কিছু বলার সাহস করে না। সরকারী স্বার্থ রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব তারাই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে কৃষিজমি কাটছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ সরকারী স্বার্থ জড়িত জমির মাটি কেটে বিক্রির সাথে তারা জড়িত। আবার তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে মাদকের ব্যবসা। হাকিম মেম্বারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানেই চলে মাদকের ব্যবসা। তার ছোট ভাইসহ ৫ সদস্যের একটি গ্রুপ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে। উপজেলা প্রশাসনসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে মাটি কাটা বন্ধের আদেশ দিলেও তার কোন তোয়াক্কা করেনা এই গ্রুপটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নয়ানন্দ বিলের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ভরাট করছে ধীপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আ. হাকিম দেওয়ান এবং পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চাঠাতিপাড়া বিলের ফসলি জমির মাটি কেটে ভরাট করছে সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ।
স্থানীয়রা জানান, দিন দিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রিসহ সরকারি বিভিন্ন জমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে কৃষকেরা বিপাকে পড়ছেন। ফসলি জমির নালাগুলো বালু ভরাট হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা থেকে নয়ানন্দ পলাশপুর আড়িয়ল সড়কের কালভার্ট মুখে বাঁধ দিয়ে বালু ভরাট করছে সাবেক ইউপি সদস্য আ. হাকিম দেওয়ান। প্রশাসন থেকে বন্ধ করে দেওয়ার পরও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাজী ওয়াহিদ তা চালু করে দিয়েছেন। এই যদি হয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অবস্থা তাহলে কৃষক কোথায় যাবে?
এ বিষয়ে ধীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নগরকান্দির সাবেক মেম্বার আ. হাকিম দেওয়ান জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি এই মাটি ভরাট করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিন জানান, বন্ধ করার পরও মাটি কাটা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টঙ্গীবাড়ীতে সাবেক চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অবৈধ মাটি কাটার ব্যবসা
আগের পোস্ট