নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় গ্রাম পুলিশের ৫ সদস্যকে মারধর করে জাটকা বোঝাই ২টি পিকআপ ১টি সিএনজি, ১টি অটোগাড়ি ও ১টি নসিমন ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে তদন্ত কেন্দ্রের ৩ পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোর রাত ৫টার সময় উপজেলার কাঁঠালদিয়া-শিমুলিয়া ঈদগাহ মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গ্রাম পুলিশেরা বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুকে জানালে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ১টি নসিমনসহ ৬০ কেজি জাটকা উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। পরে দুপুরের দিকে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জানান, করোনা আতঙ্কের কারণে টঙ্গীবাড়ী-দিঘীরপাড় সড়কে উপজেলার কাঁঠালদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালদিয়া ঈদগাহ মাঠের সামনে চেকপোষ্ট বসায় উপজেলা প্রশাসন। সেখানে দায়িত্বরত অবস্থায় গ্রাম পুলিশের সদস্য নবু শেখ, সুজন শেখ, শহীদ মাল, আব্দুর রশিদ ও আব্দুর রহমান জাটকা বোঝাই ৫টি গাড়ী আটক করে। এর ১০ মিনিট পরই দুইজন কনস্টেবলসহ দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. তাইজুদ্দিন সেখানে ছুটে আসেন। এ সময় গ্রাম পুলিশের সদস্যদের মারধর করে জাটকা বোঝাই নসিমন গাড়ীগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যান এএসআই ও কনস্টেবলরা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান, দিঘীরপাড় দিয়ে জাটকা মাছসহ বিভিন্ন অবৈধ জিনিস পাচার হয়। বিষয়টি উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বহুবার জানানো হয়েছে। এর সাথে জড়িত রয়েছে দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিল্লুর রহমান। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে এলাকার সবাই জানে যে, জিল্লুর রহমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পাচারের সাথে জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজদিখান সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম জানান, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা লিখিতভাবে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তাইজুদ্দিন, কনস্টেবল দীপু মল্লিক ও কনস্টেবল মোঃ মহসিনকে ক্লোজড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।