নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ীর দীঘিরপাড় বাজার। এ বাজারটি প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীরে। কয়েক বছর ধরে এ বাজারটিতে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীর তীরের উত্তর ও দক্ষিণ দিকও ভাঙ্গছে। উত্তর দিকে বসতি সবচেয়ে বেশি। সেই হিসেবে দক্ষিণে রয়েছে আবাদি জমিসহ খন্ড খন্ড বসতি। এর ফলে ভাঙ্গনে এখানকার অনেক কিছুই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। উত্তরে ভাঙ্গন রোধে গত দুই বছর ধরে সরকারিভাবে কয়েক কোটি টাকার বালির বস্তা নদীর তীরে ফেলা হয়। কিন্তু নদীতে পানির স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই সেইসব বস্তা নদীতে বেশিরভাগই তলিয়ে গেছে। এবার বর্ষাকে সামনে রেখে নতুনভাবে আরো বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও নিরাপদে রয়েছে তীরের মানুষ। তবে উত্তর পাড়ের পশ্চিম দিকে পোস্ট অফিস এলাকা দিয়ে এখনো ভাঙ্গন রয়েছে। এ ভাঙ্গন বড় আকার ধারণ করলে উত্তর দিকে নতুন করে বালির বস্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। দক্ষিণ পাড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দীঘিরপাড় বাজারের ওপর দিয়ে ভবিষতে বড় ধরণের পাকা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই হিসেবে এখানে ভাঙ্গন প্রতিরোধ খুবই জরুরি। দীঘিরপাড় বাজার থেকে কাঁচা মাটির সড়কে মোটরসাইকেলযোগে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নড়িয়ায় যাওয়া যায়। এছাড়া এখান থেকে ট্রলারযোগে নদীপথেও নড়িয়ায় যাওয়া যায়। তাই দীঘিরপাড় বাজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।