নিজস্ব প্রতিবেদক
টঙ্গীবাড়ী যশলং ইউনিয়নে সাক্ষী হওয়ার কারণে মোজাম্মেল শেখ মোহনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানাধীন যশলং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল শেখ মোহন (৬০) পিতা- মৃত মুনসুর আলী শেখ এলাকার দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন। একই গ্রামের এবং একই এলাকার বাসিন্দা রমজান শেখ (৩৫) পিতা- মৃত রশিদ শেখ, হিরন শেখ (৪০) পিতা- মৃত হুকুম আলী, ইমন শেখ (২২) পিতা- জলিল শেখ, মানিক শেখ (৩৩) পিতা- লতিফ শেখ, আক্তার শেখ (৫৫) পিতা- মৃত আলিম উদ্দিন শেখ, ওয়াসিম শেখ (৩৮) পিতা- মৃত হুকুম আলী শেখ, জলিল শেখ (৪৫) পিতা- মৃত হুকুম আলী শেখ, রাকিব শেখ পিতা- রশিদ শেখ, রোজিনা (৩৬) পিতা- হুকুম আলী শেখ, রশিদ শেখ (৫৮) পিতা- মৃত কমর উদ্দিন শেখ এর বিরুদ্ধে এ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। মোহন এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং মাঝেমধ্যে বিচার সালিশও করে থাকেন।
জানা যায়, আসামীদের আক্রোশ টঙ্গীবাড়ী থানার মামলা নং- ১০ (০৭) ২২, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০/৩০ সংক্রান্তে মোহন উক্ত মামলার সাক্ষী হওয়ার মূল কারণ। এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই মোহনের উপর এ হামলা করা হয়। কারণ, গত ৪ অক্টোবর বিকালে নির্জনে পেয়ে মোহনকে হত্যার উদ্দেশ্য করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। মোহনের চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ০৫/১০/২০২২ টঙ্গীবাড়ী থানার মামলা নং- ০২/১৭২ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/১১৪/৩৪ পেনাল কোডে আয়েশা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশ এখনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান এর সাথে ফোনালাপ হলে তিনি বলেন, আসামিদের ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।