নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নদী সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জের ৩টি উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার ২৫ শতাধিক পরিবার। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলার নদীসংলগ্ন ৪টি ইউনিয়নে ১২শ ৫০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে কামরখাড়ায় ৬শ, দীঘিরপাড়ে-৪শ, হাসাইলে-১৫০ ও পাঁচগাঁওয়ে ১০০টি পরিবার। লৌহজং উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নদী সংলগ্ন বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, লৌহজং-টেউটিয়া, কুমারভোগ, মেদিনীমন্ডল ও কলমা ইউনিয়নে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে শ্রীনগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ভাগ্যকূল, রাঢ়ীখাল ও বাঘড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পানিবন্দি রয়েছে কয়েক শতাধিক মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে উপজেলার বেজগাঁও, গাঁওদিয়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বেশ কিছু গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আর গত ২০ দিন যাবত একই উপজেলার দক্ষিণ মেদিনীমন্ডল, কনকসার ও লৌহজং-তেউটিয়া ও কলমা ইউনিয়ন প্লাবিত রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, তিনটি উপজেলার বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবিরুল ইসলাম খান জানান, পানিবন্দি পরিবারের জন্য ৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। পানিবন্দি ১ হাজার পরিবারে ২০ কেজি করে চাউল বিতরণ ও গবাদি পশুর থাকার জন্য টেউটিয়া চরে ১০ বান্ডিল টিন দিয়ে ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ট্যাবলেট ও শুকনো খাবার জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরণের ক্ষতি হয়নি। নদী ভাঙন রোধে নদী সংলগ্ন খড়িয়া, হলদিয়া ও সামুরবাড়ি এলাকায় জিও ব্যাগ দিয় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা আক্তার জানান, বন্যাদুর্গত ১২শ ৫০টি পরিবারে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার আগামীকাল শনিবার বিতরণ করা হবে। এসব এলাকা পরির্দশন করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।