নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলা পঞ্চসার ইউনিয়নের ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের নয়াহাজী বাড়ির পাশের ইটের রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। বণিক্যপাড়া বাজার থেকে এই ইটের রাস্তাটি চলে গেছে ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে। সেখান থেকে এ রাস্তাটি একাধিক লিংক রোড হয়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার লোক চলাচল করে থাকে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে এ পথে চলাচল করতে এলাকাবাসী নানা রকমের অসুবিধার মধ্যে পড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বনিক্যপাড়া বাজারের পিছনের এ রাস্তাটি পূর্ব ও পশ্চিমের দিকে থাকলেও এ রাস্তার ইট ইতোমধ্যে উঠে গেছে। অনেক স্থানে আবার ইটসহ মাটিও সরে গেছে। এর ফলে সেখানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসব গর্তে এ পথে চলাচলের সময়ে একাধিক যানবাহন পড়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে এ পথে বেশি অর্থ দিলেও কোন যানবাহন সহজে আসতে চায় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব নানা কারণে এ রাস্তার দু’পাশের বসতিরা রয়েছে নানা রকমের সমস্যায়। রাস্তার এ অবস্থার কারণে এ পথ দিয়ে শুধুমাত্র হেঁটেই বাড়ি যাওয়া যায়। জানা যায়, এই রাস্তাটি ৩০ বছর আগে এখানকার ব্যক্তিগত জমির মালিকদের আইল থেকে জমি নিয়ে তবেই এ পথের রাস্তার যাত্রা শুরু হয়। তখন জমির পাশ থেকে মাটি কেটে রাস্তাটি তৈরি করা হয়। তখন মাটির কাঁচা রাস্তা ছিল এটি। পরে এটিতে পর্যায়ক্রমে ইট বসানো হয়। পঞ্চসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী শফিউদ্দিন আহম্মেদ এর নিজস্ব উদ্যোগে এ রাস্তাটি তখন আলোর মুখ দেখে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এখানকার এলাকাবাসীদের দাবি যেন রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়।