নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঢাকার বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের সবসময় পড়তে হয় যাতায়াতের ভোগান্তিতে। সব গাড়িতে শিক্ষার্থীদের না উঠানো এর একটা বড় কারণ। সময়মতো গাড়ি পেলে যেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই ঢাকা পৌঁছানো যায় সেখানে গাড়ির জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এই সমস্যা এখন আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ২৫ শে জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর থেকেই ঢাকা-মাওয়ার গাড়ি এখন ঢাকা-ভাঙ্গা যাতায়াত করছে। মাওয়া শ্রীনগর থেকে কোন যাত্রী নিচ্ছে না।
বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় সেন্ট্রাল ওমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুলের সাথে। তিনি বলেন, সকালবেলা গাড়িতে উঠতে সবসময় সমস্যা হয়। সব গাড়িতে শিক্ষার্থী নিতে চায় না আবার যে গাড়িগুলো নেয় সেখানে বলে মহিলার সিট নেই। এভাবে তিনটি বছর কষ্ট করে ভার্সিটিতে যাচ্ছি।
সরকারি কবি নজরুল কলেজের ছাত্র ফয়সাল বলেন, সকাল ১০টায় ক্লাস ৭টায় গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় অথচ গাড়িতে উঠলে ২০ মিনিটে কলেজে চলে যাওয়া যায়।
ছনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের যতগুলো যাত্রী ছাউনি আছে সব যাত্রী ছাউনি থেকেই শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বাসে উঠাতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ৫% সিট খালি রাখতে হবে। তারা আরো বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সব ধরনের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করা জরুরি। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি ও দেশ সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না। শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা দিয়ে পুরো পৃথিবীতে পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে প্রতিটি যাত্রী ছাউনি থেকে শিক্ষার্থীদের উঠাতে হবে
আগের পোস্ট