নিজস্ব প্রতিবেদক
সকল প্রস্তুতি থাকা স্বত্বেও বসানো গেলো না পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান। গতকাল শনিবার বিকালে পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর কাজ স্থগিত করা হয়েছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই নোঙর করতে সমস্যা হওয়ায় এবং ঠিকমতো স্প্যানকে ‘পজিশনিং’ করা সম্ভব না হওয়ায় কাজ স্থগিত করা হয়। তবে আজ রবিবার সকালে স্প্যান বসানোর কাজ আবার শুরু হবে।
পদ্মা সেতুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নোঙর সমস্যার কারণে কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে রওনা দিতে ভাসমান ক্রেনের অনেক দেরি হয়।
এদিকে, দীর্ঘ চারমাস পর গতকাল শনিবার পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে সর্বশেষ ৩১তম স্প্যানটি গত ১০ জুন স্থাপন করা হয়। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১-ডি নম্বরের এই স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে পিয়ার-৪ ও পিয়ার-৫ এর ওপর স্থাপন করার পর সেতুর ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে রওনা দেয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, অক্টোবরের প্রথম দিকে সবক’টি স্প্যান বসানো শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি ৬ মিটারের বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। তীব্র স্রোতে ভাসমান ক্রেন নোঙর করতে অসুবিধা হয়। এতে শিডিউল অনুযায়ী স্প্যান বসানো যায়নি।
প্রকৌশলীরা আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
সেতুর অন্য কাজও এগিয়ে চলছে। সংশোধিত সময় অনুযায়ী মূল সেতু সমাপ্তির শেষ তারিখ আগামী বছরের ৩০ জুন। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।