লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের যত্নে কোকোনাট ওয়েলের ব্যবহার তো অনেকেই জানেন। তবে জানেন কি, ত্বকের যত্নেও এই ওয়েল হতে পারে আপনার ভরসার একমাত্র নাম? ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ কোকোনাট ওয়েল প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে করে তোলে মসৃণ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওয়েল শুধু বাইরের আর্দ্রতা ধরে রাখে না, বরং ত্বকের গভীরে ঢ়ুকে কাজ করে ভেতর থেকে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রুক্ষতা, দাগছোপ, এমনকি বয়সের ছাপও অনেকটাই কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের যত্নে কেন ব্যবহার করবেন কোকোনাট ওয়েল-
ত্বকের দাগ ও লালচে ভাব দূর করে
ত্বকে পুরোনো ব্রণের দাগ, সূর্যের পোড়া ছোপ বা হালকা ফোলাভাব থাকলে কোকোনাট ওয়েল হতে পারে সেরা সমাধান। এতে থাকা ভিটামিন ই এবং প্রদাহবিরোধী উপাদান ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে পরিষ্কার ও সমান টোনের।
বয়সের ছাপ কমায়
কোকোনাট ওয়েলের অ্যান্টি-এজিং গুণ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না সহজে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কোষ সজীব রাখে। বলিরেখা ও সূক্ষ্ম দাগ কমে আসতে শুরু করে নিয়মিত ব্যবহারে।
শিয়া বাটারের সঙ্গে মিশিয়ে দ্বিগুণ সুফল
কোকোনাট ওয়েলের সঙ্গে শিয়া বাটার মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের পুষ্টি বাড়ে কয়েক গুণ। শিয়া বাটারে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এ এবং ই, যা ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবসময় খাঁটি ও প্রাকৃতিক কোকোনাট ওয়েল বেছে নেওয়া উচিত। এতে কেমিক্যাল বা কৃত্রিম সুগন্ধি না থাকা নিশ্চিত করুন। ত্বকের যত্নে যখন খুঁজছেন একটি সহজ, প্রাকৃতিক ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান-তখন কোকোনাট ওয়েল হতে পারে আপনার প্রতিদিনের রূপচর্চার বিশ্বস্ত সঙ্গী। এখনই রুটিনে এই উপাদানটি যোগ করে উপভোগ করুন মসৃণ, উজ্জ্বল ও তারুণ্য ভরা ত্বকের অনুভব।
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন কোকোনাট ওয়েল
আগের পোস্ট