নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুনাম, আদর্শ ও চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
গতকাল শনিবার ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, মোঃ মনিরুল হক মিঠু, শহীদুজ্জামান জুয়েল, কামরুল হাসান ফরাজী, মোঃ হাফিজুজ্জামান খান জিতু, প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস। শোকের দিন। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কাল রাতে বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করতে পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালানো হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ও নিষ্ঠুরতম গণহত্যাগুলোর একটি। রাতের অন্ধকারে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে চালানো হয় এই নৃশংস গণহত্যা। নিরস্ত্র মানুষের ওপর এমন হত্যাযজ্ঞ বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ২৫ মার্চ যেমন শোক ও আত্মবিসর্জনের দিন তেমনি চরম সঙ্কটেও মাথা তুলে ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি-সাহস জাগানিয়া অনুপ্রেরণার দিন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীশক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নির্মূল করে দেওয়ার শপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।
তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে মার্কিন সিনেটর অ্যাডলাই ইস্টিভেনশন বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশে পাকবাহিনীর নৃশংসতা ছিল ভয়াবহ এবং মানব জাতির ইতিহাসে তার কোন নজির নেই। এ বর্বরতা মানুষের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে দেশের মানুষের একটি অংশ সে দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে। শত্রু সেনাদের সাথে মিলিত হয়েছে। নিজ জাতির বিরুদ্ধে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে শামিল হয়েছে। নিজেদের মা-বোনদের শত্রু সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছেÑ ধর্ষণ করেছে! ১৯৭১ সালে জামাতীয় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস তথা বিভিন্ন নামে ঘাতক বাহিনী সৃষ্টি করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজাতীয় পাক হানাদারদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই বর্বর অসভ্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রেতচ্ছায়া এবং হানাদার পাকিস্তানিদের দেশীয় দোসরদের শিরোমনি বেগম খালেদা জিয়া, তার কুপুত্র তারেক রহমান এবং তার দল ও জোট এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।