নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুই ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোগ রাস্তার বেহাল দশা। উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আরধীপাড়া, কন্দনপাড়া, কানাইনগর, ১নং ওয়ার্ডের মুন্সীরহাটি, সরকারহাটি, বাঙ্গাছাড়া ও ষোলঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মিয়াপাড়া, গোয়ালপাড়া, ১নং ওয়ার্ডের সমসাবাদ ও চকেরবাড়ী, সরদারবাড়ী এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া-কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ১০ হাজার লোকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ষোলঘর হাইস্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। ষোলঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ব্রীজের পশ্চিম পাশের মোড় থেকে ভাগ হয়ে ডান দিকে ষোলঘর ১নং ওয়ার্ডের সমসাবাদ চকেরবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা এবং গোয়ালপাড়া মোড় থেকে বাম দিক দিয়ে রাস্তাটি গোয়ালপাড়া হয়ে আরধীপাড়া, কন্দনপাড়া, খানবাড়ী, মুন্সীরহাটি হয়ে শ্রীনগর মুন্সীরহাটি পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার একেবারেই বেহাল দশা। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে গোয়ালপাড়া পর্যন্ত এবং গোয়ালা পাড়া মোড় থেকে মুন্সীরহাটি পর্যন্ত ইট সলিং করা হয় এবং গোয়ালবাড়ি মোড় থেকে সমসাবাদ চক্রেরবাড়ী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচাই রয়ে যায়। দীর্ঘদিনের করা ইট সলিং রাস্তার মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে খানাখন্দসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে রোগীদের যাতায়াতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সামান্য একটু বৃষ্টির ছিটাফোঁটা পড়লেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রাইমারী স্কুলপড়ুয়া ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকালে খানাখান্দে পড়ে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আহত হয়।
আরধীপাড়া কন্দনপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীলু জানান, আমি স্ট্রোকের রোগী। আমার প্রায় সময় চিকিৎসার জন্য ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। রাস্তার এই অবস্থা দেখে অটোরিক্সা চালক আমাদের নিয়ে যেতে চায় না। আর দুই একজন চালক যেতে চাইলেও তাদের দিতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। খুবই ভোগান্তিতে আছি আমরা।
অটোচালক সাগর জানান, ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরধীপাড়া, মুন্সীরহাটি এলাকার রোগীদের এই রাস্তা দিয়ে অটোরিক্সাযোগে নিতে যেতে পারি না। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের অটোরিক্সারও অনেক ক্ষতি হয়। তাই বাধ্য হয়ে ঐসব এলাকার যাত্রীদের নিয়ে উপজেলা হয়ে ঘুরে যেতে হয়। তাতে অনেক সময় লাগে। রাস্তাটি মেরামত হলে তাড়াতাড়ি যাত্রীদের বাড়ীতে পৌঁছে দিতে পারি।
ষোলঘর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি আমরা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে যতটুকু পেরেছি করেছি। রাস্তাটি দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী ষোলঘর হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুলে ও হাজার হাজার রোগী সেবা নিতে আসে ষোলঘর হাসপাতালে। তাই রাস্তাটির সংস্কার করা খুবই জরুরি।
শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, রাস্তাটি সদর ইউনিয়নের অংশে সংস্কার করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর আবেদন করেছি। পাশ হলে সংস্কার করা হবে।