নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, দুধ প্রকৃতির বিশেষ খাবার। পুষ্টি বিজ্ঞানে দুধকে বলা হয় সুষম পানীয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দারিদ্র বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং পুষ্টি যোগানে দুগ্ধ শিল্পের অবদান রয়েছে। মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য দুধ ও মাংসের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। শিশুদের জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই।
গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিশ^ দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখে। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্য দুধ সব খাদ্যের থেকে সেরা। শিশুদের দুধের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত বেশী। দুগ্ধ শিল্পে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ ঘটাতে প্রতিটি গ্রামে কৃষকদের গবাদিপশু পালনকে ব্যবসায়িকভাবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে হবে। কৃষকদের স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রশিক্ষণে পশু পালন করে দুধ উৎপাদনের পদ্ধতি তাদের হাতে-কলমে শেখাতে হবে। তাহলেই দুধের মান বাড়বে। বিপণন ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করতে হবে। দুধের চাহিদা সারা বাংলাদেশে রয়েছে। এর উৎপাদন কার্যক্রমও সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি কৃষক-শ্রমিকের অকৃত্রিম বন্ধু মেহনতী জনতার কন্ঠস্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেহনতী মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন, কৃষকের উৎপাদিত গবাদি পশুর দুধের ন্যায্যমূল্য এবং শহরের ভোক্তা শ্রেণীর মধ্যে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমূল পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক দুগ্ধ শিল্প গড়ে তোলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার এই খাতের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বর্তমানে এই খাতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দুগ্ধ শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পুষ্টি যোগান প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সচেতনতা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা। আসুন সকলেই আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে প্রয়াস চালাই।
সভায় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. এনামুল এহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কুমুদ রঞ্জন মিত্র।