Munshigonjer Kagoj
  • মূল পাতা
  • মুন্সীগঞ্জ
    • সদর
    • গজারিয়া
    • টঙ্গিবাড়ি
    • সিরাজদিখান
    • শ্রীনগর
    • লৌহজং
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • রাজনীতি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • ফিচার
    • জীবনযাপন
    • মতামত
    • শিক্ষা

Munshigonjer Kagoj

logo4 logo3 logo5 logo4 logo3 logo5 logo4 logo3 logo5
  • মূল পাতা
  • মুন্সীগঞ্জ
    • সদর
    • গজারিয়া
    • টঙ্গিবাড়ি
    • সিরাজদিখান
    • শ্রীনগর
    • লৌহজং
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • রাজনীতি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • ফিচার
    • জীবনযাপন
    • মতামত
    • শিক্ষা
জাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ সংবাদ

দেশের চা বাগানগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ

by Newseditor July 27, 2025
written by Newseditor July 27, 2025
দেশের চা বাগানগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে শ্রমিক অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের চা বাগানগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। অথচ চা খাতের সাথে সরাসরি দেড় লাখ এবং পরোক্ষভাবে আরো ৫ লাখ শ্রমিক জড়িত। সব মিলিয়ে এখন বহুমুখী সংকটে দেশের চা খাত। নগদ অর্থ সংকটে এর মধ্যে ৩১টি চা বাগানে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। যার ফলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে গোটা চা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা। ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও প্রশাসনিক জটিলতায় পাঁচটি বাগান তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। আর যেসব বাগান এখনো চালু সেগুলোও দেনায় ডুবে আছে। আর স্বল্প উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে চলছে।
দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক নিলামে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার চা বিপণন হয়। শুল্কসহ ব্র্যান্ডিং, সহযোগী পণ্য চিনি-গুঁড়ো দুধ ও কনডেন্সড মিল্কের বাজারসহ খাতটির মোট টার্নওভার ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও দেশের চা রফতানি হয়। কিন্তু চায়ের মতো কৃষিনির্ভর খাতে নেয়া ঋণে মাত্রাতিরিক্ত সুদ, ঋণ পেতে নানা বিড়ম্বনায় এ খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে। সংকট নিরসনে সরকার উদ্যোগী না হলে লাখ লাখ চা শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি চা উৎপাদন কমলে কর্মসংস্থান হ্রাসের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে চা আমদানি করতে হবে। দেশের চা খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের চা বাগানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। শ্রমঘন খাতটির উদ্যোক্তারা শিল্পের মতো ঋণ সুবিধা পেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের বড় পার্থক্যে অধিকাংশ বাগানই লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি বাগান উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি ৩১টি বাগান শ্রমিকদের মজুরিসহ বিভিন্ন সুবিধা দিতে পারছে না। চা খাতের উৎপাদন পদ্ধতির একটি অংশ কৃষি ধাঁচের হওয়ায় শিল্প প্রকৃতির ঋণ পদ্ধতির কারণে বাগান মালিকরা তীব্র তারল্য সংকটে রয়েছে। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে প্রায় শতভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানো চা খাতের এ সংকট নিরসনে ঋণ পদ্ধতি সহজীকরণ ছাড়াও বাগান মালিকরা কৃষি ঋণ সুবিধার দাবি তুলেছে।
সূত্র জানায়, প্রতি বছর দেশে বিক্রি হওয়া (শুল্ক-কর ব্যতীত) চায়ের মূল্য ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশের ১৭০টি চা বাগান ও ক্ষুদ্র আকারের উদ্যোক্তারা বছরে ১০ কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন করে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে বাগানগুলোকে টানা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে নিলামে চা বিক্রি করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না পাওয়া, তারল্য সংকটে শ্রমিকদের মজুরি, পিএফ, রেশন বকেয়া রাখতে বাগানগুলো বাধ্য হচ্ছে। এমনকি ৮০টি বাগান আর্থিক সংকটে নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা।
চা খাতে কৃষি ব্যাংকই ৬৫-৭০ শতাংশ ঋণ দেয়। বিপুল বিনিয়োগের খাতটিতে ঋণ প্রদান নিরাপদ হলেও বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো। অন্য খাতে বিপুল খেলাপি ঋণের কথা জানা গেলেও দেশের চা খাতের উদ্যোক্তাদের খেলাপি ঋণ মাত্র ১০ কোটি টাকার মতো। কিন্তু অপরাপর শিল্প ও উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানে কড়াকড়ি আরোপের নিয়মটি চা খাতেও আরোপ হওয়ায় বাগানগুলো সংকটে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চা খাতের সব সংকট নিরসনে নিয়ম শিথিল করার পাশাপাশি চা বাগান মালিকরা আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রদানেরও প্রস্তাব দিয়েছেন।
সূত্র আরো জানায়, চায়ের দাম নির্ধারণে উৎপাদকের কোনো হাত নেই। কারণ দেশের চা উৎপাদন-পরবর্তী বিপণন নিলামনির্ভর। তাছাড়া বিশেষায়িত এ খাতটির উৎপাদন প্রকৃতির ওপর শতভাগ নির্ভরশীল। বিশেষ করে অনুকূল আবহাওয়া, পরিমিত বৃষ্টিপাত চা চাষের জন্য খুবই জরুরি। যে কারণে ঋণ প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং লেনদেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) চা খাতে আরোপ করায় উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চা শিল্পের জন্য শস্য বন্ধকি ঋণ, প্রণোদনা প্যাকেজ ঋণ, অন্যান্য ঋণ এবং ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনের ওপর থেকে আইসিআরআর উঠিয়ে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন চা বাগানের শস্য ঋণ প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করেনি। যে কারণে অনেক বাগান তীব্র অর্থ সংকটে রয়েছে। শ্রমিকদের বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। তাতে ব্যাহত হচ্ছে বাগানগুলোর উৎপাদন।
দেশে এক দশক ধরে ক্রমাগত চায়ের উৎপাদন খরচ বাড়লেও নিলামে বিক্রয় মূল্য আশানুরূপ বাড়ছে না। ২০২৪ সালে চায়ের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রথমবারের মতো ন্যূনতম মূল্যস্তর বসানো হয়। তাতেও চায়ের উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় চলতি বছরের ১৪ মে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চায়ের ন্যূনতম মূল্য কেজিপ্রতি ২৪৫ এবং উত্তরাঞ্চলের বটলিফ চায়ের মূল্য বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত ন্যূনতম মূল্য বাড়ানো হলেও উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না অনেক বাগান।
এদিকে চা খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে অনেক শস্য উৎপাদনেই ব্যাংক থেকে ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋণ পাওয়া যায়। ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক ও বিদ্যুৎ মেলে। কৃষি খাতের উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুবিধাও রয়েছে। কিন্তু দেশের চা খাতের উৎপাদনের একটি অংশ কৃষিসদৃশ হলেও তারা শুধু ভর্তুকি মূল্যে সার পায়। বর্তমানে বাগানগুলো সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আবার টানা কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ বাগান উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চা বিক্রি করায় তাদের পরিচালনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে যেসব উদ্যোক্তা শুধু চা বাগানের ওপর নির্ভরশীল তারা বিকল্প বিনিয়োগ ও তারল্যের অভাবে শ্রমিক মজুরিসহ শ্রমিক-সংশ্লিষ্ট পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না। যে কারণে ২০২৪ সালে দেশের বাগানগুলো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চা উৎপাদন করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ড. পীযূষ দত্ত জানান, বাংলাদেশের চা বাগানগুলোর ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংকট রয়েছে। কৃষিজ উৎপাদনের পাশাপাশি চা পাতা চয়নের পর চা উৎপাদন শিল্পের কারণে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সামপ্রতিক সময়ে উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের অসংগতিতে অনেক বাগান সংকটে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষই অবগত। এ সংকট নিরসনে সব পক্ষকে নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকও হয়েছে। আশা করা যায় উৎপাদনমুখী খাতটির তারল্য সরবরাহ বাড়ানোসহ স্বল্প সুদে ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছবে। সংকটে থাকা বাগানগুলোর পাশাপাশি অচিরেই কেটে যাবে পুরো চা ইন্ডাস্ট্রির এ সংকট।
একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশী চা সংসদের সভাপতি কামরান তানভিরুর ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল কৃষি উৎপাদনে ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করা যায় না। সম্পূর্ণ সামাজিক উদ্যোগের চা খাতে শ্রমিকের সব চাহিদা পূরণ করা হলেও শুধু উৎপাদন খরচের সঙ্গে লাভ যুক্ত করে পণ্য বিক্রির সুযোগ বাগান মালিকদের নেই। নিলামের ওপর নির্ভরশীল থাকায় লোকসানে ৩১টি বাগান চরম সংকটে রয়েছে। দ্রুত এ সংকট নিরসন করা না গেলে ক্রমান্বয়ে দেশের আরো অনেক বাগান বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জানানো হয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিআরআরজনিত কারণে ঋণপ্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা নিরসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে।

০ comment
আগের পোস্ট
গুগলের কঠোর পদক্ষেপে বন্ধ হলো ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল
পরের পোস্ট
সোমবারই জুলাই সনদের খসড়া পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

You may also like

করোনা পজিটিভ হলে যা করবেন, যা করবেন না

July 4, 2022

অন্ত্রনালির গতিবিধি ঠিক রাখতে যা খাবেন

March 26, 2025

গজারিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কম্বল বিতরণ

January 21, 2020

শ্রীনগরে মোবাইল কোর্টে ২ ব্যক্তিকে আর্থিক জরিমানা ও...

September 29, 2021

জরুরি মুহূর্তে বিপদ থেকে বাঁচাবে আইফোনের ৪ ফিচার

June 14, 2024

নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও

March 30, 2023

এখন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হবে আরও আকর্ষণীয়

October 1, 2024

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

July 13, 2025

সৌরভ আইসিসির প্রেসিডেন্ট হলে নির্বাসন তুলে নেওয়ার আবেদন...

June 8, 2020

পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

July 23, 2025

Leave a Comment Cancel Reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

আন্তর্জাতিক

  • থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

    July 27, 2025
  • গাজায় একদিনে ঝরলো আরও ৮৯ প্রাণ

    July 26, 2025
  • মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

    July 23, 2025
  • বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে চেয়ে ভারতের চিঠি

    July 22, 2025

সাম্প্রতিক পোস্ট

  • মাইলস্টোন ট্রাজেডি: নতুন ব্যাখ্যায় নিহত ৩৪

    July 27, 2025
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের কাজগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ডকুমেন্টারি হয়ে আছে: ফরিদা

    July 27, 2025
  • ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল: আপিল বিভাগ

    July 27, 2025
  • যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কিনবে সরকার

    July 27, 2025
  • ইসলামী জগৎ
  • গ্রাম বাংলা
  • প্রতিভার অন্বেষন
  • মহিলা অঙ্গণ
  • শিল্প-বাণিজ্য
  • সম্পাদকীয়
  • সাহিত্য
  • স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা

কপিরাইট ২০২৩ - দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজ । সকল অধিকার সংরক্ষিত।