নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৭ অক্টোবর
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ১৮তম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনে যোগ দিয়ে চারদিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সন্ধ্যায় ৭টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট।
আজারবাইজানের শিক্ষামন্ত্রী জাইহুন আজিজ ওগলু বেরামভ এবং আজারবাইজানের দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুইদিনের সম্মেলনটি ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে সমাপ্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবার বিকালে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমন্বিত ও পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিশ্চিতে বান্দুং নীতিমালা সমুন্নত রাখা বিষয়ে এক সাধারণ আলোচনায় ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষণে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি রাজনৈতিক সংকট এবং এর মূল গভীরভাবে মিয়ানমারে প্রোথিত। তাই এর সমাধানও মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই খুঁজতে হবে।এই সংকট কেবল বাংলাদেশে নয়, বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট কেবল বাংলাদেশে নয়, এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি। এটির আমাদের দেশ এবং এর বাইরেও অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করছি।
সম্মেলনের ফাঁকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালকি দ্বিপক্ষীয় বুথে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের হেবরন শহরের একটি সড়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানান।
এছাড়াও শনিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলির সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের অংশ হিসেবে প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পিটিএ দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে দুই দেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা লাভ করবে|।