নিজস্ব প্রতিবেদক
জনগণের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি-সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালাবে সরকার। ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বাংলাঢোল লিমিটেড ও আইসিটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেম লিমিটেড এ প্রচারণা চালাবে। এতে ব্যয় হবে ২৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে এ বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রচারের দায়িত্ব পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল শাহীন, বাংলাঢোলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক ও রিভ সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগ অংশীদার অ্যাডি সফট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিব রাব্বানি। এসময় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচারণা কর্মসূচিতে অনেক কিছু থাকতে পারে। লিফলেট, পোস্টার, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে। এছাড়া নিউজ লেটার, নাটক, টক শো, প্রামাণ্যচিত্রসহ নানান কিছু নিয়ে আমরা এ পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছি। মূলত জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এ পরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। যে ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে, সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছে। কোনো অবস্থাতেই কোথাও যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই এখন সম্প্রীতি বাড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ।
নড়াইলে ‘ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকারী পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলার একটি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এ ঘটনায় কারা দায়ী- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কারা দায়ী, এটা তো আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন। এরই মধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা চাই, এ ধরনের কাজ যারাই করুক না কেন, তারা যেই হোন-যে ধর্মের হোন অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের শাস্তি হবে ইনশাল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্যই মাঝেমধ্যে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাগুলোকে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করছি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা নড়াইলে গিয়েছি, ধর্মীয় সংলাপ করেছি।
ফরিদুল হক খান আরও বলেন, নড়াইলের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, জনগণ- সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি, তাদের কথা শুনেছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত। ক্ষতিগ্রস্তদের এখন মানসিকভাবে সাহস যোগানো দরকার। আমরা সেই কাজও করছি।